পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

衍叶1 বর্ধ-সাধনে উদ্যত হইয়া পৃষ্ঠ-বন্ধ তুণীর হইতে বাণ তুলিতে গেলেন, কিন্তু একি ?— তাঁহার হস্ত একেবারে অবশ হইয়া তুণীরসংলগ্নই রহিল ! বাণ আর তোলা হইল না । অপরাধী সিংহ পুরোভাগে গুরু-দেবের হোম-ধেনুর প্রাণ-নাশোদ্যত, অথচ কোন প্ৰতিবিধানের উপায় নাই, রাজার বাহুদ্বয় একেবারে স্তম্ভিত । তেজস্ব দিলীপ ‘মন্ত্রৌষধি-রুদ্ধ-বীৰ্য্য ভোগীর’ ন্যায়, আপন তেজে আপনিই দগ্ধীভুত হইতে লাগিলেন। কোন প্ৰতিকার আর করিতে পারলেন না । তখন পশু-রাজ সেই নরাধিরাজকে মানুষের ভাষায় সম্বোধন করিয়া কহিতে লাগিল;-স্তম্ভিত নরপতি এবার বিস্মিত হইলেন। সিংহ বলিল “মহীপতে ! কেন বৃথা শ্ৰম ? তুমি আমার প্ৰতি যেরূপ অস্ত্ৰই প্রয়োগ কর না কেন, তাহা ব্যর্থ হইবে । তোমার সমগ্ৰ সামৰ্থ্য-প্রয়োগেও আমার কোন ক্ষতি হইবে না। আমি ‘অষ্টমূত্তির কিঙ্কর, আমার নাম “কুম্ভোদর, কৃত্তিবাস ኣ፡ আমার পৃষ্ঠে পাদ-ন্যাস-পূর্বক বৃষভে আরোহণ করেন,-আমি র্তাহার এত অনুগ্রহের পাত্র। ঐ যে সম্মুখে স্নিগ্ধ দেবদারু বৃক্ষ দেখিতেছি, রাজন! ঐ বৃক্ষের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শূলভূৎ আমাকে নিযুক্ত করিয়াছেন । এই গুহা আমার বাসস্থান। মহাদেবের প্রসাদে, আহাৰ্য্যের জন্য আমাকে কোথাও যাইতে ' হয় না, আমার খাদ্য আপনিই আসিয়া আমার নিকটে উপস্থিত হয়। নরেন্দ্ৰ ! আজি আমি বড়ই ক্ষুধাৰ্ত্ত, পরমেশ্বরের বিধানেই, আমার শোণিত-পিপাসা মিটাইবার নিমিত্ত, আজ এই ধেনু