পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| Y 8R) ধরণীর তুমি একচ্ছত্র অধিপতি, তোমার এই নবীন’ বয়ঃক্রম এবং অনিন্দ্য কান্তি, ইহাদের প্রত্যেকটিই দুর্লভ। তুমি এক তুচ্ছ ধেনুর জন্য এই সমস্ত সম্পদ বিসৰ্জন করিতে যাইতেছদেখিয়া, আমার মনে হইতেছে, তোমার ন্যায় কাৰ্য্যাকাৰ্য্য-বিচারশূন্য আর দ্বিতীয় নাই। ভাবিয়া দেখ, সত্য সত্যই যদি তোমার হৃদয়ে জীবের প্রতি অনুকম্প জন্মিয়া থাকে, তাহা হইলেও, এই ধেনুকেই তোমার ত্যাগ করা উচিত ; কেন না, তোমার প্ৰাণ বিনিময়ে মাত্র ইহার প্রাণরক্ষণ হইতে পারে বটে, কিন্তু হে প্ৰজা-নাথ ! তুমি যদি জীবিত থাকিতে পাের, তবে, কত শত সহস্ৰ প্ৰজাকে কত প্ৰকার বিস্ত্ৰ-বিপদ হইতে পিতার ন্যায় রক্ষা করিতে পরিবে !! তাই আবার বলি, ভাবিয়া দেখ, একটি ধেনুর জীবনের জন্য, শত শত প্ৰজার জীবনের প্রতি উদাসীন থাকা কি তোমার ন্যায় প্রজা-রঞ্জন নরপতির উচিত ? তুমি মৰ্ত্তের ইন্দ্ৰ তুলা, এ ইন্দ্ৰত্ব চিরজীবন ভোগ কর, ইহাই আমার বাসনা, -- তুমি আত্ম-জীবন-দানে ধেনুর জীবন-রক্ষার বাসনা পরিহার কর।” এই ভাবে, সিংহ কত প্ৰলোভন দেখাইল । সিংহের সেই জলদ-গম্ভীর-স্বরে, সমগ্ৰ হিমালয়ট যেন কঁাপিয়া উঠিল। এ দিকে দিলীপ সিংহের উক্তির উত্তর দিতে যাইবেন—এমন সময়ে, • সিংহের প্রবল আক্রমণে একান্ত ক্লিষ্ট হইয়া, পয়স্বিনী নন্দিনী মুহুমুহুঃ দিলীপকে কাতর-নয়নে নিরীক্ষণ করিতে লাগিল। ধেনুর সেই কাতর দৃষ্টিতে দয়াময় নৃপতির হৃদয় যেন আরও বিগলিত হইল। তখন তিনি বলিলেন, “মৃগেন্দ্ৰ ! বিপন্নের বিপত্রাণ রাজার