পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্র লাভ। S (ሉ ዓ একবার যৌবনে, দিলীপ, ইচ্ছামাত্রেই রাজ-সিংহাসন পরিত্যাগ-পূর্বক, গুরুর আদেশে ধেনু-পালকের বৃত্তি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, আবার বৃদ্ধিবয়সে, যেমন দেখিলেন যে, জীবনের সন্ধ্যা সমাগত প্ৰায়, অমনি রাজ-সিংহাসন ছাড়িয়া বনে যাত্ৰা করিলেন। আত্ম-ত্যাগের উজ্জ্বল নিদর্শন দেখাইলেন। যাহার হৃদয়ে ত্যাগশক্তি বলবতী, র্যাহার অন্তঃকরণ আসক্তি-শূন্য, তিনি কি যৌবনে, কি বাৰ্দ্ধক্যে, সর্বদাই সমান। কাল-ধৰ্ম্মে তঁহাকে মুগ্ধ বা বিচলিত করিতে পারে না । জগৎ তাহার অধীন, তিনি জগতের অধীন নহেন । স্বভাবের নয়ন-রঞ্জন সৌন্দর্য্যের মধ্যেও যেমন প্রতি পালে জগদীশ্বরের মহিমা অনুভূত হয়, বনের প্রতি পত্ৰ পুষ্প পল্লবে, তটিনীর কুল-কুল ধ্বনিতে, বিহঙ্গমের কল-মধুর-স্বর-লহরীতে ও যেমন বিশ্বেশ্বরের অপার করুণার-অনন্ত শক্তির উপলব্ধি হয়, তদ্রুপ কালিদাসের এই সুন্দর চরিত্র-সৃষ্টি-সমূহের মধ্যেও একটা - অতুল মহিমা-অনুপম শক্তি অনুভূত হইয়া থাকে। র্তাহার চিত্রাবলীর বহিঃ-সৌন্দৰ্য্য অবলোকন করিতে করিতে, তন্মধ্যে কবির ভুবনহিতৈষণা দেখিতে পাওয়া যায়। কবি সৌন্দর্ঘ্যের মধ্য দিয়া পাঠককে একুটা পবিত্র পদার্থ-অনুকরণযোগ্য চরিত্র দেখাইয়া দেন। পাঠকের সৌন্দৰ্য্য-মুগ্ধ হৃদয়ে, সে চরিত্রের প্রভাব, পাষাণ-গত রেখার ন্যায় চিরস্থায়ী হইয়া থাকে।