পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अचूं। VIVO রূপ ছিল, তাই বিদ্বান বরতন্তু-শিষ্যের সম্মাননা করিবার জন্য, তাহার শতমুখী কল্পনা যেন সহস্ৰ-মুখী হইয়া উঠিয়াছে। যখন বরতন্তু-শিষ্য কৌৎস রাজ-ভবনে উপস্থিত হয়েন, তখন, উৎসৃষ্ট-সর্বস্ব নরনাথ রঘু, মৃন্ময়-পাত্রে অর্ঘ্যস্থাপনপূর্বক, কৌৎসের অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন। পৃথিবী-পতির অক্ষয় ভাণ্ডারে এমন একটি ধাতব পাত্ৰ পৰ্য্যন্তও ছিল না, যাহাতে, সমাগত অতিথির অভ্যর্থনার নিমিত্ত পাদ্যার্ঘ্য স্থাপন করেন। ঋষি-যুবক কৃত-বিদ্য, ব্যবহারক্তজ্ঞ, তিনি নৃপতির অর্ঘ্য-পাত্ৰ-দৰ্শনেই বুঝিয়াছিলেন যে, তাহার চতুৰ্দশকোটি সুবর্ণমুদ্রা-ভিক্ষার স্থান এ নহে। আসিয়াছেন, নির্বাক-বদনে ফিরিয়া গেলে রাজার অসম্মান করা হয়, এবং আত্মগোপন করিবারও কোন কারণ নাই, সুতরাং স্বাধীন-হৃদয় নবীন কৌৎস প্ৰত্যুত্তরে বলিলেন—“রাজন! আমাদের সর্বাঙ্গীন কুশল জানিবেন। আপনি যাহাঁদের রক্ষাকৰ্ত্তা, তাহাদের আবার অশুভের সম্ভাবনা কোথায় ? দিবাকর যখন প্ৰকাশমান, তখন কি অন্ধতমসের আবির্ভাব লোকে কল্পনাও করিতে পারে ? - নরনাথ। পূজ্যের প্রতি ভক্তিপ্রকাশ আপনার কুলের চিরাভ্যস্ত, আজ নূতন নহে; কিন্তু আপনি অদ্যকার ভক্তি দ্বারা আপনার পূর্বপুরুষদিগকেও অতিক্রমণ করিলেন। যদি বলেন যে, “তবে তুমি একটু বিমনা কেন ?’- রাজন!! খুলিয়াই বলি,—আমি অসময়ে আপনার নিকটে প্রাধিরূপে আসিয়াছি, ইহাই আমার বিষাদের একমাত্র কারণ । আপনি সৎ-কাৰ্য্যে সর্বস্ব ব্যয় কবিয়াছেন, ইহাতে দুঃখিত হইবেন না, কেননা”-