পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So8 কালিদাস । শ্ৰবণ বিবরে অমৃত-ধারা-বর্ষণ করিতে থাকে,-তখন, সেই মধুর শারদ প্ৰভাতে যেমন, তুমি যে দিকেই দৃষ্টিপাত করিবে, সেই দিক হইতে আর তোমার নয়ন আকর্ষণ করিতে পরিবে না, যে দিকে মনোনিবেশ করিবে, সেই দিক হইতে আর মন ফিরাইতে পরিবে না, তদ্রুপ, মহাকবি কালিদাসের অনুপম চিত্রাবলীর যে খানিতেই যখন নয়ন-পাত করিবে, তাহা হইতে আর নয়নপরাবৰ্ত্তন করিতে পরিবে না, যত দেখিবে, তত আরও দেখিতে আকাঙ্ক্ষণ জন্মিবে। এমনই সুন্দর সে চিত্র-সমূহ। সৌন্দুৰ্যের সহিত ভাবের অপূর্ব সম্মিলনে কালিদাস-রচনা সকল সাহিত্যের শিরোদেশ-বৰ্ত্তিনী হইয়াছে। উনবিংশ অধ্যায়। ইন্দুমতীর স্বয়ংবর। আজ ইন্দুমতীর / স্বয়ংবর। ভারতের তাবৎ রাজন্য-বর্গ ঐশ্বৰ্য্যোচিত বেশভুষা, সু-সজ্জিত হইয়া, স্ব স্ব নির্দিষ্ট মঞ্চোপরি, নানা রত্ন-খচিত সিংহাসনে উপবিষ্ট হইয়াছেন। কালিদাসের এই বর্ণনা-পাঠে, ভারতে\—সেই তদানীন্তন প্ৰাচীন ভারতের ২ সুখের স্মৃতি মনে জাগিয়Mউঠে। রাজন্য-গণ-সকলেই যেন কাহার অপেক্ষা করিতেছেন) কে যেন এখনও আসেন নাই । সকলেরই মুখে একটু উৎকণ্ঠার ছায়া পরিলক্ষিত হইতেছে।