পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Svt কালিদাস । । তাহার আর সে পূর্ব সম্পদ, নাই। এক সময়ে মগধ’ বলিলে যাহা বুঝাইত, যে বিশাল রাজশক্তির কথা, রাজ্যের প্রতিপত্তির কথা মনে জাগিয়া উঠিত, এখন আর সে মগধ নাই, তবে তাহার। নাম একেবারে লুপ্ত হয় নাই, কিংবা সে রাজবংশেরও সম্পূর্ণ বিলোপ ঘটে নাই। অন্যান্য অনেক নূতন নূতন রাজ্যে নব নব ভূপতি অভু্যুদিত হইলেও, প্রাচীন গৌরব স্মরণ করিয়া, মগধেশ্বরকেই সর্বাগ্রে উল্লেখ করিতে হয়। সমবেত, নবাভূদিত, রাজন্যবর্গের মধ্যে যদি লুপ্ত-গৌরব মগধ-পতির একটু বিশেষ সম্মান না করা যায়, তাহা হইলে, প্ৰাচীন রাজবংশের অবমাননা হয় ; তাই কালিদাস, প্রথমেই মগধেশ্বরের সম্মুখে ইন্দুমতীকে লইয়া গিয়া, সুনন্দ দ্বারা নৃপতির পরিচয় প্ৰদান করিলেন । বৰ্ত্তমান সময়ে, বিশুষ্ক হওয়া স্বত্ত্বেও যেমন কালীঘাটের গঙ্গাকে ‘আদিগঙ্গা’ বলিয়া সম্মান করিতে হয়, তদ্রুপ ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে মগধরাজ্য পতিত হওয়া সত্ত্বেও আদি রাজ্য বলিয়া মগধের এবং আদিম রাজা বলিয়া মগধপতির নামোল্লেখ করা হইয়াছে —প্ৰত্নতত্ত্ববিদগণের এই যুক্তি তত ভুয়োদৰ্শন-সস্তুত বলিয়া মনে হয় না। কেন না। ইন্দুমতীর স্বয়ংবর সভায় সমবেত রাজন্য-গণের পরিচয়-কালে, মগধ, অঙ্গ, অবন্তি, পাণ্ড্য, অনুপ, মথুৱা, কলিঙ্গ প্রভৃতি যে কতিপয় রাজ্যের নামোল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়, মহাভারতেও ঐ ঐ রাজ্যের নির্দেশ পরিা দৃষ্ট হয়। মহাভারতের যে স্থলে, যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞের । পূর্বে পাণ্ডবগণের চারি ভ্রাতার চতুর্দিক বিজয় করিতে বহির্গত