পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిరి , কালিদাস । কালো মেঘের উদয় হইল, অথবা মেঘ বলি কেন ? তঁহার ইহ জীবনের সমস্ত শান্তি, সমস্ত সুখ, সমুলে বিধ্বস্ত করিবার জন্য, যেন কালান্তক ধূমকেতু আবিৰ্ভত হইল। আনন্দের মণিময় প্রাসাদ চুৰ্ণ-বিচূর্ণ করিবার নিনিত্ত, যেন “বিনামেঘে বজাঘাত।” হইল। “ব্যোমচারী” নারদের কার-স্থিত বীণা হইতে, অকস্মাৎ, একছড়া পারিজাত মালা স্বলিত হইয়া পৃথিবীতে পতিত হইল, না—না, পৃথিবীতে নহে, পৃথিবী-পতির হৃদয় ভগ্ন করিবার জন্য, তদীয় রাজ-লক্ষনীর দেহে পতিত লইল। মহারাজ, রাজ্য-পালনচিন্তা-ক্লান্ত হৃদয়ের কথঞ্চিৎ স্বাস্থ্য-বিধানের জন্য, মহিষী ইন্দু মতীর সহিত একদিন নগরোপকণ্ঠবৰ্ত্তিনী উদ্যান-বাটিকায় ভ্ৰমণ করিতেছিলেন ; দেবর্ষি নারদের বীণা-শ্বলিত কুসুম-স্ৰক, তথায়, ইন্দুমতীর দেহে পতিত হইল। (১) অদৃষ্ট যখন মন্দ হয়, তখন অমৃতও গরলে পরিণত হয়, চন্দন-তরুও বিষ্যদ্রব্রুমের আকার ধারণ করে। আজও তাহাই হইল। ঐ অকস্মাৎ স্মলিত কুসুম মালিকার স্পৰ্শমাত্ৰেই, কুসুমাধিক-কোমল, বিহবলা। “নরোত্তম-প্ৰিয়া” চিরদিনের মত নয়ন নিমীলন করিলেন । অকস্মাৎ যেন দুরন্ত রাহু আসিয়া, নিৰ্ম্মল আকাশবক্ষ হইতে শারদ কৌমুদীকে বিলুপ্ত করিল। কালিদাস, পৃথিবীর মধ্যে যে বিপদ সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্করী, অজকে সেই বিপদে পাতিত করিয়া, জগতে দুঃসহবেদনার একটা খরস্রোত প্রবাহিত করিয়া দিলেন। সে বেদনার ভয়ঙ্কর প্রভাব চিন্তা করিতেও প্ৰাণ কাপিয়া উঠে। ...