পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O R কালিদাস । ছায়া-পাত হইয়াছিল, এবার দশরথকৃত। এই ব্ৰহ্মবধে তাহার মূৰ্ত্তি আরও একটু ফুটিয়া উঠিল। বুঝিতে পারা গেল যে, সূৰ্য্যবংশের সুগঠিত প্ৰসাদ-মন্দিরে অশ্বথ-প্ররোহ জন্মিয়াছে, ক্রমে বাড়িতেছে। অজের শোকাশ্ৰণতপ্ত সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়াতেই বুঝিতে পারা গিয়াছিল যে, দশরথের ভাগ্য সুপ্ৰসন্ন নহে, তারপর এই ঘটনায় আরও বুঝা গেল যে, মহারাজ দশরথ দুরদৃষ্ট। সূৰ্য্য-বংশের ভবিষ্যৎ সুখের নহে। জ্ঞানে হউক, অজ্ঞানে হউক, সূৰ্য্য-বংশীয় নৃপতির কৰ্ম্মদোষে, আজ পবিত্রকুলে পাপস্পর্শ হইল। * দশরথের প্রবল প্ৰতাপ। ভারতের তাবৎ রাজন্য-বৃন্দ ভঁাহার অধীন, সামন্ত-নৃপতি-রূপে গণ্য। তিনি যখন যজ্ঞানুষ্ঠান করিতেন, তখন, স্বর্গের আধিপতি ইন্দ্ৰ যজ্ঞভাগ গ্রহণের জন্য দশরথের যজ্ঞভূমিতে স্বয়ং অবতীর্ণ হইতেন। র্তাহার এমনই সম্মান, এতই প্ৰভাব। ইন্দ্রের নিকটে তাহার মস্তক অবনত হইত, নতুবা পৃথিবীর অন্য কোন নৃপতির নিকট তাহার শিরনত হইত না। (১) এই একটি চিত্ৰে কালিদাস মহারথ দশরথের বীরত্বকাহিনী বিবৃত করিলেন। এত অল্প কথায়, এমন পরিস্ফটিভাবে, একজন প্ৰবল-পরাক্রম মহীপতির বীরত্ববৰ্ণন অন্যত্র দুর্লভ। এইভাবে, অতি তেজস্বিতার সহিত, দশরথ বহুকাল রাজত্ব করিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে, তাহার কোন সন্তান-সন্ততি জন্মিল। না । কোশল-সমাজ্যের ভাবী অধিপতির অভাব-চিন্তায় মনস্বী । yr (S) 3' ھةe{oسم RR