পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वनवाज । Ν. Σ δο এবং সীতার পাতিব্ৰত্যে রামের সকল ক্লেশেরই একপ্রকার অবসান হইয়াছিল। রাজ্যাপেক্ষা বনবাসই যেন তাহার অধিকতর অভিপ্রেত হইয়া উঠিয়াছিল। সীতার ভক্তি-স্নেহ-পূর্ণ পরিচর্য্যায় রামের চিত্তে রাজ্য পরিত্যাগ-জন্য কোন দুঃখই কদাচি উদিত হইত না। নিৰ্ম্মম রাক্ষস, অত্যাচারী রাক্ষস রামের সেই “প্রিয়স্তোক-বাদিনী’ ‘অরণ্যবাস-প্ৰিয়সখী’ জানকীকে হরণ করিল। বনবাসের সমস্ত দুঃখ,-সীতা-মুখ-দর্শনে এতদিন যে সমুদয় দুঃখক্লেশ রাম বিস্মৃত হইয়া ছিলেন, সে সব যেন যুগপৎ উপস্থিত হইয়া, সীতাবিচ্ছেদ-কাতর রামচন্দ্ৰকে আরও কাতরতর করিয়া তুলিল। আজ সীতাকে হারাইয়া রামের সেই সব কথা মনে পড়িল। যৌবরােজ্যাভিষেকের পূর্বদিনে, অধিবাসকালের সেই ক্ষৌম-বাস-ধারণ, আবার পরদিন প্ৰভাতে তাহা ত্যাগ করিয়া । সেই বন্ধল-পরিধান, সেই পুত্ৰ-বিচ্ছেদ-বিধুরা কৌশল্যা ও সুমিত্রার কাতর আর্তনাদ, বারংবার প্রতিষেধসত্ত্বেও পতিপ্ৰাণা জনক-তনয়ার সেই প্ৰবল অনুগমনেচ্ছা।--সেই বাদ প্ৰতিবাদ,- সমস্ত আজ রাম-হৃদয়ে যুগপৎ সমুদিত হইল । বন-গমনে বার বার বাধাপ্ৰাপ্ত হইয়া, সজল-নয়নে, সেই যে সীতা বলিয়াছিলেন- , “ন পিতা নাত্মজো নাত্মা ন মাতা ন সখীজনঃ। ইহ প্ৰেত্য চ নারীণাং পতিরেকে গতিঃ সদা ৷ (১) - us (১) রামায়ণ অযোধ্যাকাণ্ড, ২৭শ সৰ্গ, শ্লোক ৬-রমণীর কি ইহকাল কি পরকাল