পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 कॉलिन । করিলেই সর্বপ্রথমে একটি ব্যাপারে আমরা মুগ্ধ হই। দেখি পৃথিবীর মধ্যে যাহা সুন্দর-হৃদয়ের উন্মাদ-কর, যাহা অপাপবিদ্ধ-প্ৰকাণ্ড, যাহা অনুপম,তাহাই কালিদাসের কাব্যের প্রধান উপজীব্য বা জীবন। জগতে কবিগণের বর্ণনীয় বিষয় দুইটি,-অন্তর্জগৎ ও বহির্জগৎ । নীরেন্দ্ৰ-প্ৰতিমা সুনীল প্ৰশান্ত আকাশ, নীল-নীরদ-প্ৰভ অনন্ত জলরাশি, পূর্বাপর-সমুদ্রাবগাহিনী অভ্ৰ-ভেদিনী পর্বত মালা, “বসন্তোদার-রমণীয়’ প্ৰকৃতির লীলাময়ী “শ্যামায়মান” বনভূমি, সৈকত-লীন-হংস-মিথুনা” কলবাহিনী স্রোতস্বিনী প্রভৃতি বহির্জগতের সুন্দর সুন্দর বস্তু ; আর, গ্ৰীতি, স্নেহ, দয়া, সৌন্দৰ্য্য, প্ৰেম, আত্মোৎসর্গ, সমবেদনা প্ৰভৃতি অন্তর্জগতের সুন্দর সুন্দর বস্তু ; –এই সমস্তই যেন মহাকবি কালিদাসের নিজের সম্পত্তি। তিনি, এই সমুদয়ের—যেটির যে স্থানে ইচ্ছা, ‘বিনিয়োগ’ করিয়াছেন। সব যেন বেতের মত ঘুরিয়া তাহার বর্ণনার অনুকূল হইয়া আসিয়াছে। যে স্থানে যে কথাটি বলিলে, যে স্থানে যে ভাবটি প্রকাশ করিলে, র্তাহার নিসর্গ-সুন্দর আলেখ্য গুলির সৌন্দৰ্য্য—চারুতা, আরও শতগুণ বদ্ধিত হয়, তথায়, তাহা ঠিক সেইভাবে বসাইয়াছেন। যে ছবিতে প্ৰাণে উন্মাদ জন্মে না, যে কথায় কৰ্ণে অমৃত বর্ষণ হয় না, যে হাসিতে হৃদয় পবিত্র ও লঘু হয় না,-অথবা অধিক কি,-যে রসে হৃদয় বিধৌত হইয়া স্বচ্ছ দর্পণের ন্যায় নিৰ্ম্মল এবং ভাবগ্রহণের সম্যক উপযোগী হয় না, তাদৃশ ছবি-কথা