পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR (tbo: r কালিদাস । র্তাহার দুঃখের অবসান হইল। “কিন্তু বিধাতা যে তাহার আদৃষ্টে সহস্ৰগুণ অধিক দুঃখ লিখিয়াছেন, তাহা তিনি স্বপ্নেও জানিতে পারেন নাই। রাজার কন্যা, রাজার বধূ, রাজার মহিষী হইয়া, কে কবে তাহার ন্যায় চিরদুঃখিনী হইয়াছে! বুঝি যাবজীবন দুঃখভোগের নিমিত্তই তঁহার নারীজন্ম হইয়াছিল।” কবি, এ যাবৎ সীতার কোন বিশেষ কথাবাৰ্ত্তার উল্লেখ করেন নাই। কদাচিৎ—রাম-চরিত্রের উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট অংশ প্ৰদৰ্শন-কালে, সীতা-রূপিণী স্থির-সৌদামিনীর সাহায্য গ্ৰহণ করিয়াছেন মাত্র। এইক্ষণে-নারীজীবনের এই ভয়ঙ্কর দুঃখের সময়ে, রাজকন্যা সীতার করুণ-রোদনে “ কবি, সমস্ত জগৎচেতনাচেতন-নির্বিশেষে যেন দুঃখের অতল সাগরে নিক্ষিপ্ত করিলেন। “জন্মান্তরে যেন তোমাকেই পুনরায় পতিরূপে প্ৰাপ্ত হই, তোমার সহিত এ জন্মের ন্যায় পরজন্মে যেন আর বিচ্ছেদ না। ঘটে, ইহাই আমার শেষ প্রার্থনা”-বলিয়া পবিত্ৰ-শীলা সীতা যখন সজল-নয়নে, শোকাকুল লক্ষণকে আত্ম-বক্তব্য বিজ্ঞাপিত করিয়াছিলেন, তখন সীতা-হৃদয়ের সেই অনুপম সৌন্দৰ্য্য—সুখে, দুঃখে, সম্পদে, বিপদে, রামের প্রতি তাহার যে আটল অনুরাগ, অসীম নির্ভর, তাহা চিন্তা করিয়া, সেই সাধবীর চরণোদেশে কাহার মস্তক না অবনত হয় ? যে দেশে সীতার ন্যায় সতীর জন্ম হয়, সে দেশ ধন্য, তীৰ্থকল্প। যে দেশের সাহিত্যে আবার সীতার ন্যায় দেবীর চরিত্র চিত্রিত, সেই সাহিত্য এবং সেই চরিত্রের যিনি চিত্রকর,-উভয়েই পূজাহঁ। "