পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S br. o কালিদাস । বৰ্ত্তমান সময়ে দেখিতে পাই, অনেক গ্রন্থে লিখিত, থাকে যে, “পাঠক বোধ হয় বুঝিতে পারিয়াছেন, ইনিই আমাদের আলোচ্য নাটকের ( বা গ্রন্থের ) নায়ক ( বা নায়িকা) অমুক।” ইহা অত্যন্ত অন্যায়, রীতি-বিরুদ্ধ। কৌশলে সামাজিকদিগের সম্মুখে পাত্রের পরিচয় দিতে হইবে। যে স্থানে সেই কৌশলের অভাব ঘটে, তথায় কাব্যেরও সন্ধিভঙ্গরূপ একটা প্ৰধান দোষ জন্মে। এই দোষের জন্য গ্ৰন্থকার অপরাধী। গ্ৰন্থকারের মনে রাখিতে হইবে যে, তিনি সৌন্দৰ্য্য-সৃষ্টি করিতে বসিয়াছেন, সৌন্দৰ্য্য-ধ্বংস করা তঁহার প্রতিপাদ্য নহে। সুতরাং যাহা কিছু সৌন্দৰ্য্যের পরিপন্থী, সঙ্কীর্ণ কিংবা নীচ, তাহা অকুষ্ঠিত চিত্তে তাহাকে পরিত্যাগ করিতে হইবে । অযোধ্যার সম্পদের দিনে, যখন দিলীপ, রঘু, অজ, দশরথ, রাম প্রভৃতি রাজ-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যখন অযোধ্যা ইন্দ্রের অমরাবতী অপেক্ষা ও সর্বাংশে অধিকতর গৌরবশালিনী ছিল, তখন কিন্তু কবি অযোধ্যার কোন বিশেষ বর্ণন করেন নাই। কদাচিৎ একটি বিশেষণ দিয়া, কখনো বা প্রসঙ্গতঃ একটু ইঙ্গিত করিয়া, কবি, অযোধ্যার অপার্থিব সম্পদের আভাস দিয়াছেন মাত্র। আর এখন সেই সোণার অযোধ্যা ভাঙ্গিয়া পড়িয়ছে, শ্মশানে পরিণত হইয়াছে, অমনি কবিও, তাহার অবাধ-কল্পনা-প্ৰভাবে, অযোধ্যার সেই লুপ্ত সম্পদের পুনরুদ্ধার পূর্বক, লোক-নয়নের সম্মুখে, এক অতি নিরুপম চিত্ৰ উত্তোলন করিয়া ধরিয়াছেন। সম্পদের দিনে