পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नाप्नेकोन्न ठुखाख्छ । ORO নহৈ, এই বিবেচনায়, ধীর-বুদ্ধি ধারিণী নাট্টাচাৰ্য্য বৃদ্ধ গণদাসের ইস্তে ইহার শিক্ষার ভার দিয়া, বালিকাকে, রাজপ্রাসাদ হইতে একবারে গণদাসের বাড়ীতে প্রেরণ করিলেন। ভাবিলেন, এই রূপবতী যখন অনন্তগুণে গুণবতী হইবে, তখন ইহাকে অবলা-প্রিয় রাজার গোচর করিব। পূর্বে নহে। কিন্তু ভাগ্যবান অগ্নিমিত্রের সৌভাগ্যে ধারিণীর এ কৌশল-জাল অচিরাৎ ছিন্ন হইল। একদিন রাজা, অন্তঃপুরের চিত্ৰ-শালিকায় ভ্ৰমণ । কালে, একখানি চিত্রে ধারিণী এবং ধারিণীর পরিচারিকাবর্গের প্রতিকৃতি দর্শন করিতে করিতে, অকস্মাৎ সেই সুন্দর প্ৰতিকৃতিসমূহের মধ্যবৰ্ত্তিনী একটি মূৰ্ত্তি লক্ষ্য করিয়া মহিষীকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, এ রূপসী পরিচারিকাটি কে ? ইহাকে রাণী কোথায় পাইলেন ? এ কোথায় থাকে ? ধারিণী রাজার কথার কোনই উত্তর না দিয়া, প্ৰসঙ্গান্তরে ও প্রশ্নটা অন্তরিত করিবার অভিলাষ করিতেছেন, এমন সময়ে, তাহার পাশ্ববৰ্ত্তিনী সরলহন্দয়া কুমারী বসুলক্ষনী, বলিয়া দিলেন যে, ঐ পরিচারিকার নাম মালবিকা। রাজা তদবধি মালবিকাকে । দেখিবার জন্য অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হইলেন ; এ দিকে ধারিণীও পূর্বাপেক্ষা অধিকতর, সতর্কতার সহিত মালবিকাকে নিয়ত রাজ-নয়নের অন্তরালে রাখিতে লাগিলেন। ক্রমে, রাজার আগ্রহে, রাজ-বয়স্য বিদূষক, নানাবিধ কৌশলে মালবিকার সহিত রাজার মিলন করাইয়া দিলেন । জন-প্রচার-শূন্য উপবনের মধ্যে রাজা ও মালবিকাকে কথাবাৰ্ত্ত কহিতে দেখিয়া কনিষ্ঠ ।