পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N0 R \\ কালিদাস । ধারিণী এবং কৌশিকী-উভয়েরই উদেশ্য এক হইলেও কিন্তু উভয়ের কেহই কাহাকে নিজের অভিপ্ৰায় জানিতে দিলেন না। পরিণয়সভায় কৌশিকী আত্ম-পরিচয় প্ৰকাশ করিলেন। মালবিক কাঁদিতে কাঁদিতে আসিয়া, তাহারু পাদ-বন্দনা করিলেন। রাজা পূর্বাপেক্ষা অধিকতর ভক্তির সহিত কৌশিকীর সেবা করিতে লাগিলেন। মালবিকার পরিণয় হইল। ধারিণী দীর্ঘনিশ্বাসের সহিত মালবিকাকে আন্তঃপুরের অধীশ্বরী করিয়া দিলেন । ইরাবতীর সুখের স্বপ্ন ভাঙ্গিয়া গেল । কবির প্রতিপাদ্যও সম্পূর্ণ হইল। পঞ্চত্রিংশ অধ্যায় । । মালবিকার আত্মোৎসৰ্গ । এই নাটকের বর্ণিত চরিত্রের মধ্যে, মালবিকা, অগ্নিমিত্ৰ, ধারিণী, ইরাবতী, বিদূষক ও পরিব্রাজিকা—এই কতিপয় পাত্রের চরিত্রই অভিনেয় পদার্থের প্রধান সাধন। সুতরাং ইহাদেরই আলোচনা আবশ্যক । ইহার মধ্যে আবার মালবিকা-চরিত্রই সৰ্ব্বপ্রথম আলোচ্য । মালবিকা বিন্দর্ভের রাজার-কন্যা। অতীব কোমল-প্রকৃতি। বিদর্ভপতির মৃত্যুর পর, রাজ্যের মধ্যে যখন অন্তর্বিপ্লবের দাবানল প্ৰজ্বলিত, সেই সময়ে, মালবিকার অগ্ৰজ কুমার মাধবসেন,