পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"VOOR কালিদাস : বাধিয়াছে। তাই তিনি, যতদূর সাধ্য রাজার অভিপ্ৰায়-সাধনের সহায়তা করিতে লাগিলেন। মালবিক রাজার রাণী হইবে, ইহাত তঁহারই আন্তরিক অভিলাষ। এই সন্ন্যাসিনীর বেশে দেশে দেশে পৰ্যটন করিয়া, পরিশেষে বিদিশার রাজ-সংসারে আসিয়া এই যে অবস্থান, আত্মগোপন, চক্রান্ত,-এ সমস্তই ত মালবিকার জন্য। কিন্তু প্ৰতিভাবতী ধারিণীর সম্মুখে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন, নতুবা উদ্দেশ্য-সিদ্ধি হইবে না, তাই তিনি, উদাসীনভাবে, ন্যায্য-বিচারের জন্য আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। যখন আচাৰ্য্যদ্বয় উচ্চৈঃস্বরে বিবাদ করিতে করিতে রাজার সম্মুখে উপস্থিত হয়েন, তখন রাজা, বিদূষককে বলিয়াছিলেন, “সখে ! তোমার নীতি-পাদপের বোধ হয়, এই প্ৰথম কুসুমোদগম।” চতুর বিদূষক প্রত্যুত্তরে অমনি বলিলেন, “ভয় নাই, এই সবে ফুল, ফলও অচিরাৎ দেখিতে পাইবে।” (১) রাজা ও বিদূষক, এই দুইটি কথায় সমস্ত ব্যাপারটা একবারে খুলিয়া দিলেন। রসজ্ঞ সামাজিকগণ এই কলহ-রহস্য বুঝিয়া লইলেন। ধারিণী প্ৰথম হইতেই বিরক্ত । তাঁহার বিরক্তির কারণ এই যে, এখনও সময় হয় নাই, যে অস্ত্রে ইরাবতীর সুখতারুর মুলোচ্ছেদ করিতে হইবে, সেই অস্ত্ৰ এখনও সম্যক প্রকারে শাণিত হয় নাই। এখন—এত পূর্বাহ্নে এই অস্ত্রের প্রয়োগ, হয়ত, ব্যর্থও হইতে পারে, কিন্তু আর কিছুদিন পরে এ অস্ত্ৰ অমোঘ হইবে। (১) মালবিকাগ্নিমিত্র, ১ম অঙ্কীর্ণ “রাজা। সখে! তুৰ্নীতিপাদপস্ত পুষ্পপূর্ণ মুদ্ভিন্নম।” বিদুষক। “ফলমপি দ্রীক্ষাসি।”