পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VVOV) কালিদাস । মালবিক জানিতেন, কিন্তু তিনি গোপন রাখিয়াছিলেন। আর প্ৰকাশ করিয়াই বা লাভ কি ? এ নির্বান্ধব রাজপুরীতে কে র্তাহার বেদনার অংশ গ্ৰহণ করিবে ? তিনি এখন ভিখারিণী, র্তাহার এই রত্ন-লাভের বাসনা যত প্ৰচ্ছন্ন থাকে, ততই মঙ্গল । বামনের চন্দ্ৰ-স্পর্শের আশার ন্যায়, তঁহার এ দুরাশার কথা যে শুনিবে, সেই ত তাঁহাকে উপহাস করিবে ; তাই তিনি অতি গোপনে, মনের ভাব মনের মধ্যেই রাখিয়াছিলেন। নৃত্যমঞ্চে মালবিকার ভীতিবিহবল অবস্থা দর্শনে, প্ৰবীণ আচাৰ্য্য গণদাস বুঝিতে পারিলেন যে, বালিকার চিত্ত-চাঞ্চল্য ঘটিয়াছে, কোমল হৃদয়ে ভয়-সঞ্চার হইয়াছে। তিনি অমনিই অগ্রসর হইয়া বলিলেন,- “বৎসে ! মুক্ত-সাধ্বসী সত্ত্বস্থা ভব।” (১) “বৎসে ! ভয় পরিত্যাগ কর, স্থির হও, চিত্ত-বিকলতা দূর কর।” মালবিকা আচাৰ্য্যের আদেশে চমকিয়া উঠিলেন। ভাবিলেন,-“এ কি ?’ আমার এমন হইল কেন ? আচাৰ্য্যের সম্মুখে, পাটরাণীর সম্মুখে, পণ্ডিত কৌশিকীর সম্মুখে আমার এ বিচলিত ভাব কি ভাল ?” তিনি তৎক্ষণাৎ হৃদয় স্থির করিয়া, নৃত্য এবং সঙ্গীত করিবার জন্য প্ৰস্তুত হইলেন। মুহূৰ্ত্ত পূর্বে যে মুখচ্ছবি ছিল, সহসা তাহার পরিবর্তন হইল। আর কেহ। তাহা বড় না দেখিলেও রাজা কিন্তু দেখিলেন । (১) মালবিকাগ্নিমিত্র, ২য় অঙ্ক।