পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালবিকা । ©8 ዓ• অস্তই আনন্দময়, কিন্তু সেই উদ্যান-বৰ্ত্তিনী দুঃখিনী মালবিকার দ্বাদয় নিরানন্দ ! তিনি সে দিনি, রাজার সম্মুখে,যে আত্ম-নিবেদন করিয়া আসিয়াছেন, তাহ, তদবধি সর্বদাই, তাহার মনের মধ্যে 'জাগিয়া আছে । রাজা তাহাতে কি ভাবিলেন, কি করিলেন, কৈ ! এত দিনেও ত তাহার কোন সন্ধান পাইলেন না ! তাই একান্ত কাতর-চিত্তে, মালবিক নিজে নিজে বলিতে লাগিলেন,-“কেন এমন দুঃসাহস করিলাম ? কেন আমি ‘অবিজ্ঞাতি-হৃদয়’ নরপতিকে, আমার হৃদয়ের দ্বার খুলিয়া দেখাইলাম ? কেন এমন আত্ম-বিমূঢ় হইলাম ? বালা-জনসুলভ লজ্জাবরণ উন্মোচন করিয়া, কেন আমার হৃদয়ের গুপ্তধন বিসৰ্জন দিলাম ? সে দিন যে গান গাহিয়াছিলাম, আজ তাহা ভাবিতেও লজ্জা হয়। স্নেহময়ী সখীর । নিকটে যে মনের বেদনার কারণ জানাইব, এমন সামর্থ্যও আমার নাই। জানি না, বিধাতা কতদিন আমাকে, এই প্রকারে সন্দেহের সূচী-শয্যায় ফেলিয়া রাখিবেন ?” মালবিকা এইরূপ নানা বিষয় ভাবিতে ভাবিতে এতই বিমানায়মানা হইয়াছিলেন যে, তিনি কি জন্য উদ্যান-বাটিকায় আসিয়াছেন, তাহা পৰ্য্যন্ত বিস্মৃত হইয়াছেন। তিনি নিজে নিজেই বলিতেছেন, “আমি কোথায় যাইতেছি ? কেন। যাইতেছি ?”-এমন সময়ে তাহার। মনে পড়িল। আমনি বলিতে লাগিলেন-“দেবী ধারিণী আমাকে বলিয়াছিলেন, ‘মালবিকে । আমি “তপনীয়” অশোকের দোহদ করিতে পারিব না,তুমি যাও, দৌহদ কর গিয়া। যদি “পঞ্চ-রাত্ৰ