পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v937 কালিদাস । মধ্যে,” অশোকবৃক্ষে কুসুমোদগম হয়, তাহা হইলে’-বলিতে বলিতে মালবিকার একটি দীর্ঘ নিশ্বাস পতিত হইল,-“তাহা হইলে, তোমার অভিলাষ পূর্ণ করিব,-আমার অভিলাষ ?”—মালবিকার অভিলাষ মালবিকাই জানেন, অন্যে তাহা জ্ঞাত নহে, সে অভিলাষ অপূরণীয়। তাই মালবিকার দীর্ঘ নিশ্বাস, তাই “আমার অভিলাষ বলিতে বলিতেই মালবিকার কণ্ঠরোধ। এই ভাবে, সেই বিজন উপবনে, মালবিক এক এক নিজের সুখ-দুঃখের স্বপ্নের আলোচনা করিতেছেন । মালবিকার এ অবস্থা রাজা না দেখিলে কে দেখিবে ? তাই কালিদাস, সেই নিৰ্জন উপবন-মধ্যে রাজাকে পূর্বেই প্ৰবেশ করাইয়াছেন। আজ মালবিকা দোহদ করিতে আসিবেন, একথা, ধূৰ্ত্ত বিদূষক পূর্ব হইতেই জানিত, তাই সে পূর্ব হইতেই রাজাকে লইয়া উদ্যানের এক লতাগৃহে আসিয়া প্রচ্ছন্ন ছিল। মালবিক বনমধ্যে একাকিনী উপস্থিত, অদূরে রাজা, তিনি যে মালবিকাকে দেখিতেছেন, তঁহার করুণ-পদাবলী শুনিতেছেন, মালবিকা। ইহার বিন্দু বিসর্গও জানিতে পারেন নাই। রাজা, সেই একদিন, নৃত্যমঞ্চে মালবিকাকে দেখিয়াছিলেন, ধারিণীর সমক্ষে সে দর্শন আদৰ্শন-তুল্য। আজ জন-সঞ্চার-বিহীন উদ্যানে রাজা নিঃসঙ্কোচে মালবিকাকে দেখিতেছেন। সে এক মালবিক, আর আজ, এ আর এক মালবিক। আদ্যকার মালবিকার সে উল্লাস নাই, সে উৎসাহ নাই ; আদ্যকার মালবিক ‘শর-কাণ্ড-পাণ্ডু-গণ্ডস্থলা,’ ‘পরিমিতাভরণা” ; আদ্যকার