পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালবিকা । 08) মালবিক বসন্তের পরিণত-পত্ৰা” কতিপয়-কুসুমা” “কুন্দ-লতিকার’ ন্যায় মলিন-কান্তি। ধীরে ধীরে পাদ-চার করিতে করিতে আসিয়া, মালবিক সেই প্রতিবন্ধ-প্রসূন অশোকের ছায়া শীতল তলদেশে একখানি শিলাফলকে উপবেশন করিলেন। সমস্ত তরু কুসুম মণ্ডনে বিমণ্ডিত, কেবল এই অশোক কুসুম-হীন, বিষন্ন, তাই বুঝি কবি, বিষন্ন তরুর তলে বিষগ্ন-হৃদয় রাজ-কুমারীকে লইয়া আসিলেন। মালবিকার উৎকণ্ঠার সীমা নাই, তিনি এক এক বার এখনও মনকে প্ৰবোধ দিবার প্রয়াস করিতেছেন। কখনো ৈ বলিতেছেন—“হৃদয় । বিরত হও, কখনো বলিতেছেন। ‘দীন তুমি কেন তোমার এ উচ্চাভিলাষ, কেন আমাকে আর যাতনা দাও ?” রাজা ‘লতান্তরিত’ হইয়া এ সমস্তই শুনিতেছেন। এমন সময়ে মালবিকার সখী বকুলাবলিকা অলঙ্কার এবং অলক্তক লইয়া, মালবিকাকে বিভূষিত করিতে তথায় উপস্থিত হইল। মালবিকা আদর করিয়া, তাহাকে নিকটে বসাইলেন। সে যখন মালবিকার চরণে অলক্তক এবং নূপুর পৱাইতে চাহিল, তখন, দুঃখিনী রাজ-কন্যা মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন যে, আজ আমার জীবন-মরণের সন্ধিস্থল। যদি অশোক কুসুমিত হয়, তবে এ অলঙ্কার-ধারণ সার্থক হইবে, অভিলাষ পূর্ণ হইবে। অন্যথা ইহাই আমার মৃত্যু-মণ্ডন, এই অলঙ্কার পরিয়াই প্ৰাণত্যাগ করিব। বকুলাবলিকা মালবিকার চরণে অলক্তক-রাগ করিতেছেন, আর অদূরে লতা-পিহিত রাজা তাহা দেখিতেছেন। মালবিক ও বকুলাবলিক-দুইজনে, সেই বিজন উদ্যানে কত