পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

92 R কালিদাস । ‘অশোক কুসুম-হীন ছিল, তাহার দোহদ করিলে, কুসুমোদগম হইবে। আমারও ত অভিলাষ-কুসুম অপ্ৰস্ফুটিত, মালবিকে ! আমার কি দোহদ হইবে না ?’ গর্বিতা ইরাবতী তখন আর আত্ম-গোপন করিয়া থাকিতে পারিলেন না। তাঁহাদের সম্মুখে, সহসা, দৃপ্ত সিংহীর ন্যায় উপস্থিত হইয়া রাজাকে বলিলেন, ‘হইবে বৈ কি ? তোমার দোহদ অবশ্য পূর্ণ হইবে। অশোকের দোহদে তাহাতে মাত্ৰ ফুল ফুটিবে, তোমার দোহদে, মহারাজ ! তোমাতে ফুল ও ফল দুইই হইবে, ছিছি!”— * সকলেই অপ্ৰস্তুত হইলেন। বকুলাবলিকা কম্পিতাঙ্গী মালবিকার হস্তধারণপূর্বক, ত্বরিত-চরণে চলিয়া গেল। রাজা নিতান্ত অপ্ৰতিভ হইয়া, মূঢ়-নয়নে ইরাবতীর দিকে চাহিয়া রহিলেন । ইরাবতী কম্পিত্যকণ্ঠে কহিলেন, “হায় । ‘ব্যাধগীত-রক্তা”। হরিণীর ন্যায়, আমি এত দিন তোমার চাটুবচনে আত্মবিস্মৃত ছিলাম, তুমি আমায় বঞ্চনা করিয়াছ, আমি বুঝিতে পারি নাই। তুমি বিদিশার অধিপতি, তোমার যে এতাদৃশ বিনোদ বস্তু লাভ হইয়াছে, তাহা আমি জানিতাম না ; জানিলে কি আর আমি হাত-ভগিনী তোমার অন্বেষণে এস্থলে আসিতাম ?” মালবিক পরিচারিকা,তাই ইরাবতী ‘এতাদৃশ বিনোদ বস্তু’- বলিয়া রাজাকে শ্লেষ করিলেন। কিন্তু বিদূষকের ইহা সহ্য হইল। না। সে অমনিই বলিয়া বসিল “রাজ্ঞি। পরিচারিকার সহিত সরলভাবে কথাবাৰ্ত্তায় যে কোন দোষ নাই, তুমিই ত তাহার