পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*96 Vy কালিদাস' ) { দেখাইতে ভাল বাসিতেন। তাই তাহার প্রতি গ্রন্থেই আমরা কতপ্রকার চিত্ৰ দেখিতে পাই । ধারিণীর আদেশে মালবিক অবরুদ্ধ ছিলেন। বিদূষক তঁহাকে মুক্ত করিয়াছে। সমুদ্র-গৃহে অপেক্ষা করিতে বলিয়া গিয়াছে, মালবিক অপেক্ষা করিতেছেন। কিন্তু কাহার অপেক্ষায় যে বসিয়া আছেন, তাহা তিনি জানেন না। আর বিদূৰ ষকও তােহা বলিয়া যায় নাই। মালবিকা সে দিন ইরাবতীর সমক্ষে যে লজ্জা পাইয়াছেন, যে বিপদে পড়িয়াছিলেন, তাহাতে, তিনি বেশ বুঝিতে পারিয়াছেন যে, আর বুঝি রাজ-দৰ্শন তাহার ভাগ্যে নাই। তাই আজ সেই দুর্লভ দেবতার প্রতিকৃতি দর্শন করিয়া উত্তস্তিত হৃদয়ের কথঞ্চিৎ শান্তি করিতেছেন। চিত্রাবলী দেখিতে দেখিতে, হঠাৎ, এক খানি আলেখ্যোর উপর র্তাহার দৃষ্টি স্থির হইল। সে চিত্র খানি রাজা অগ্নিবর্ণের অন্তঃপুরের প্ৰতিকৃতি । তাহাতে রাজ-পরিবারের অনেকেই আছেন, রাজাও আছেন। কিন্তু রাজা অনিমেষ-নেত্ৰে, একধ্যানে, একটি অন্তঃ। পুব-ললনার দিকে চাহিয়া আছেন, আর সেই ললনা, বদন ঈষৎ পরিবৃত্ত করিয়া আনত-নয়নে বসিয়া আছেন। মালবিকার নয়নে এই দৃশ্যটি পতিত হওয়ামাত্ৰেই, তিনি সমীপবৰ্ত্তিনী সখীকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, উহা কোন ললনার প্রতিকৃতি ? তাহার নাম কি ? বকুলাবলিকা বলিল ‘হঁহারই নাম ইরাবতী।” সরল-প্ৰাণা মালবিক। আমনি বলিলেন, ‘সখি। এব্যবহার ত মহারাজের দাক্ষিণ্যের পরিচায়ক নহে। সমস্ত মহিষী