পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালবিকা । SORA দিগকে উপেক্ষা করিয়া, একজনের উপর অনুগ্রহাতিশয় প্ৰদৰ্শন কি উদার প্রকৃতির লক্ষণ ?’ ইরাবতী যখন ধারিণীর পরিচারিকা ছিলেন, ইহা সেই সময়ের ছবি। মালবিকার এই কথায়, বকুলাবলিকা, সত্য সত্যই, তাহার হৃদয়ের কোমলতা এবং উদারতা অনুভব করিয়া একান্ত গ্ৰীত হইলেন। কিন্তু বকুলাবলিকা বুঝিলেন যে, মালবিক চিত্রগত অগ্নিমিত্ৰকে প্ৰকৃত অগ্নিমিত্ৰ ভাবিয়াছেন। তাই একটু রহস্য করিবার জন্য কহিলেন, ‘সখি। ঐ রমণী মহারাজের প্রণয়ভাজন।” অমনি মালবিকা ‘কেন তবে আমার ব্যথিত প্ৰাণে আবার নূতন ব্যথা দিতে যাইতেছি ?” বলিয়া ঈষৎ রোষাভরে সে চিত্ৰ-দৰ্শনে বিরত হইলেন, এবং অন্যত্ৰ চলিয়া গেলেন। রোষাবির্ভাবে তাহার মুখকান্তি রক্তাভ হইল। বকুলাবলিকা মনে মনে হাসিতে লাগিলেন। বিদূষক তঁহাদিগকে এই স্থানে রাখিয়া গিয়াছেন, তাহারা এই ভাবে কাল কাটাইতেছেন। আর না কাটাইয়াই * বা করিবেন কি ? যাইবেন কোথায় ? ৩। রাজ-সংসারে আর মালবিকার স্থান নাই। ধারিণী এত দিন প্ৰসন্ন ছিলেন, এক্ষণে, ইরাবতীর অভিযোগে তিনিও বিরূপ হইয়াছেন। সুতরাং মালবিকার আর গন্তব্য স্থান কোথায় ? এদিকে ধূৰ্ত্তচূড়ামণি বিদূষক, অনেকক্ষণ হইল, রাজাকে লইয়া, নিগৃঢ়ভাবে, সমুদ্র-গৃহের একপ্ৰান্তে আসিয়া দাড়াইয়া আছেন। রাজা অন্তরালে থাকিয়া মালবিকার কাৰ্যকলাপ দর্শন করিতেছেন। মালবিকার উক্তি-প্ৰত্যুক্তি গুলি তন্ময়-চিত্তে শুনিতেছেন।