পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপবনে মালবিকা। : Vo হইয়াছে। তবে কাহার বলে তিনি কথা কহিবেন ? তাই তিনি নির্ববাক এবং সাচী-কৃত-বদনে দণ্ডায়মান। আর তাহার পুরোভাগে অনুনয়-তৎপর বিদিশাপতি। এমন সময়ে, তথায় সত্য সত্যই ইরাবতী উপস্থিত হইলেন । সে দিন, উদ্যানে, ইরাবতী ক্ৰোধবশে রাজার অবমাননা করিয়াছেন, কত অপ্ৰিয় বচন বলিয়া, তঁহকে,-যিনি এক দিন কত ভাল বাসিতেন, সেই অগ্নিমিত্ৰকে ব্যথা দিয়াছেন ; রশন দ্বারা তঁহাকে তাড়না করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন। ক্ৰোধোন্মত্তা ইরাবতীর তখন দিগবিদিক জ্ঞান ছিল না । পরে ইরাবতী বুঝিতে পারিয়াছেন যে, সে সব ভাল করেন নাই। রাজার চরণে ঘোর অপরাধ করিয়াছেন । এ অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা আবশ্যক। কিন্তু কাহার কাছে ক্ষমা চাহিবেন ? অগ্নিমিত্ৰ ত এখন আর সে অগ্নিমিত্ৰ নাই, সে ইরাবতী-বল্লভ নাই। তাই ইরাবতী আজ সমুদ্র-গৃহে আসিয়াছেন। তিনি যে দিন সর্ব প্ৰথমে রাজার নয়ন-পথে পতুিত হইয়াছিলেন, সেই দিনকার সেই অবস্থার একখানি চিত্র এই সমুদ্র-গৃহে আছে। সেই চিত্রের দিকে চাহিয়াই, কিয়াৎপূর্বে মালবিক অভিমান করিতেছিলেন। এই সমুদ্র-গৃহে ইরাবতীর জীবনের সেই প্ৰথম উষার আলোক ফুটিয়াছিল। রাজার সহিত প্ৰথম সাক্ষাৎ হইয়াছিল। অভিমানিনী ইরাবতী আজ জন্মের মত ক্ষমা চাহিতে এবং বিদায় লইতে, তাই সমুদ্র-গৃহে উপনীত হইয়াছেন। যে চিত্র খানিতে, তাহার দিকে রাজা অনিমেষ-নিয়নে দৃষ্টিপাত করিয়া