পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-OVR কালিদাস । কি লাঞ্ছনা সহিয়াছি, তাহা ত তুই জানিস, এবার যে আবার কি একটা দুৰ্ঘটনা ঘটিৰে, তাহা বলিতে পারি না।” ছিন্ন-সুত্রিকা মুক্তা-মালিকার মত ঝরে ঝর করিয়া, মালবিকার অশ্রু পতিত হইতে লাগিল। এমন সময়ে, দূর হইতে কে বলিয়া উঠিল, “আশ্চৰ্য্য! আশ্চৰ্য্য ! এখনও পাঁচ রাত্রি পূর্ণ হয় নাই, ইহারই মধ্যে, অশোকে গুচ্ছ গুচ্ছ কুসুম প্রস্ফটিত হইয়াছে, ধন্য মালবিক ! তোমার দোহদ সার্থক, যাই, দেবীর নিকটে এ সংবাদ বলি গিয়া।”-বকুলাবলিকা প্ৰমদবন-পালিকার এই হর্ষসংবাদ শুনিয়াই, কাতর-হৃদয় মালবিকাকে কহিল ‘প্ৰিয়সখি ! আশ্বস্ত হও, ঐ শুনি, তোমার দোহদ সার্থক হইয়াছে। আমি জানি দেবী ধারিণী সত্যপ্ৰতিজ্ঞ, তঁহার সে প্ৰতিজ্ঞ মনে আছে তা ?-- উদ্যান-পালিকা আনন্দের সংবাদ দিবার নিমিত্ত পাটরাণীর প্রাসাদে ছুটিল। আর মালবিক এবং তাঁহার সখীও উহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন । সপ্ত-ত্রিংশ অধ্যায় । মালবিকার পরিণয় । আজ ধারিণীর প্রাসাদে বড় আনন্দ। অশোকে ফুল ফুটিয়াছিল না । দেবী স্বয়ং দোহদ করিতে পারেন নাই । প্ৰতিনিধি করিয়া