পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

时筒1 996. বীর, আড্রিজাত্যবতী জননীর উপযুক্ত সন্তান, সুতরাং ধারিণীকে যে, রাজা অগ্নিমিত্র, এক কথায় ইরাবতীর ন্যায় ত্যাগ করিতে পারিতেন না, এসমস্ত ধারিণী বেশ বুঝিতেন। কিন্তু তথাপি, তিনি স্বামীর সুখের অন্তরায় হয়েন নাই। বরং যখন যতটুকু পারিয়াছেন, পতির অভিপ্ৰেত-সিদ্ধির সহায়তাই করিয়াছেন। ; ধারিণী ইরাবতীকে এক সময়ে বড় ভালবাসিতেন। ইরাবতী রাজার অনুকম্পায় যখন অন্যতর মহিষী হইলেন, ধারিণী তখনও কিছু বলেন নাই। রাজ-বাসনায় কোন প্রকার বাধা দেন নাই । প্রত্যুত সোদরীর ন্যায় ইরাবতীকে আদর যত্ন করিয়া আসিতেছিলেন । ধারিণী নিজে পাটরাণীর রত্নময় কিরীটি মস্তকে পরিতেন বটে, কিন্তু অগ্নিমিত্রের প্রণয়-রত্বে ক্রমশই বঞ্চিত হইতেছিলেন । ইহাতেও তিনি কথা কহেন নাই। কিন্তু যখন দেখিলেন যে, রাজার ঐরাবত উন্মাদ দিন দিন অতিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইতেছে, আর ভূতপূর্ব-পরিচারিকা ইরাবতীও ক্রমে নিজের পূর্বাবস্থা বিস্মৃত হইতেছে, ইহাতে রাজ্যের ঘোর অমঙ্গলের সম্ভাবনা, তঁহার পুত্ৰ শুরোত্তম বসুমিত্র আর छू'निन পরে যে সিংহাসন অলঙ্কত করিবেন, সে সিংহাসনেরও ক্ষতির সন্তাবনা, তখন তিনি প্ৰতিকারকল্পে একান্ত যত্নবতী হইলেন। তিনি, তাহার জীবিতেশ্বর অগ্নিমিত্রের হৃদয়ের কোন অংশ সবল, কোন অংশ দুর্বল—ইহা বিশেষরূপে জানিতেন, অভিমানিনী ইরাবতীর হৃদয়ই বা কতদূর বলিষ্ঠ, তাহাও সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত ছিলেন। তাই যখন দেখিলেন যে, আর সময় নাই, এক্ষণে প্ৰত্যাবৰ্ত্তিত