পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ांड्रिी ! Q) “যদি অশোকে তোমার দোহদে ফুল ফুটে, তবে আমিও তোমার অভিলাষ পূরণ করিব।” মালবিকার যে কি অভিলাষ, তাহা প্ৰবীণা মহারাণী বুঝিয়াছিলেন, এবং সে অভিলাষ পূরণে তিনি পূর্ব হইতেই মনে মনে সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু মালবিকাকে কদাচ সে সঙ্কল্পের বিন্দুবিসর্গও জানিতে দেন নাই। তাহার ভয়ে দুঃখিনী মালবিক সততই কাতর, মালবিক প্ৰাণ ভরিয়া, দীর্ঘ নিশ্বাসটিও ছাড়িতে পারেন না। ধারিণী এসমস্তই বুঝি“তেন। এখন সময় হইয়াছে, তাই, মালবিকাকে আভাসে জানাইলেন যে, তোমার আকাঙ্ক্ষা আমিই পূর্ণ করিব। আর দুই দিন পরে, ধারিণী স্বয়ং র্যাহাকে বিদিশার রাণী করিবেন, আজ তাহাকে প্ৰথম নিজের প্রতিনিধি করিলেন । মালবিকা সত্য সত্যই যেন, এত দিন পরে, কতকটা অগ্রসর হইলেন। ধারিণী নিজে অতিশয় ধৰ্ম্মপরায়ণা ছিলেন । তিনি বয়সে প্ৰবীণা, পুত্ৰ উপযুক্ত, সুতরাং সন্ত্রান্ত বংশের কন্যা ধারিণীর হৃদয়, রাজ্যের শুভানুধ্যানেই নিয়ত তৎপুর ছিল। শান্ত-হৃদয়া মহারাণী, নিয়ত, অবলা-প্রিয় অগ্নিমিত্রের ছায়ার ন্যায় অনুবৰ্ত্তন করিতেন, কিন্তু সে সমস্তই অগ্নিমিত্রের প্রীতির জন্য, অগ্নিমিত্রের সুখের জন্য ; নতুবা মৰ্তাহার ধীর-প্রবীণ হৃদয়ে, আপনার জন্য কোন প্ৰকার চাঞ্চল্য ছিল না, ভোগের তাড়নায় তঁহার প্রাণ আকুল ছিল না। ’ ' তিনি হৰ্ষিত-হৃদয়ে, রাজার সহিত মালবিকার বিবাহ দিলেন। বিবাহের পরই, যখন, পরিচারিকবৃন্দ, এমন কি তাহার, নিয়ত