পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OvTR কালিদাস। হৃদয়ের প্রণয়-সম্পদ যেন এ মৰ্ত্তের উপযোগিনী নহে। অনেকাংশে তাহ দিব্য-ভাবাপন্ন । ধারিণী মনে মনে ইরাবতীর উপর একটু অসূয়াবতী ছিলেন সত্য, কিন্তু ইরাবতী কদাচ ধারিণীর উপর বিরক্ত ছিলেন না । তিনি ধারিণীকে সর্বদাই জ্যেষ্ঠ-সহােদরার ন্যায় জ্ঞান করিতেন। সংসারের প্রধান কত্রীকে যেমন সন্মান করিতে হয়, ঠিক সেই রূপ সম্মান করিতেন। ইরাবতী রাণী হইয়াও ধারিণীকে অভিভাবিকার মত দেখিতে বিস্মৃত হয়েন নাই। অগ্নিমিত্ৰ-বিষয়িণী মত্তত তাহার অত্যধিক বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইলেও কিন্তু ধারিণীর উপর তঁহার অগাধ বিশ্বাস ছিল। ধারিণী-কর্তৃক যে তাঁহার কোন রূপ অনিষ্ট সাধিত হইতে পারে, ইহা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করিতে পারিতেন না। তাই অশোককুঞ্জে রাজার সহিত মালবিকার সাক্ষাৎকারের কথা, তিনি আসিয়া ধারিণীকেই বলিয়া দিলেন। সরলপ্রাণা জানিতেন যে, ইহাতেই উপযুক্ত প্ৰতিবিধান হইবে। র্তাহার হৃদয়ের এই সায়ল্যেই রাজা আত্মবিস্মৃত হইয়াছিলেন । ইরাবতীর কেবল এই সকল সদগুণেই যে রাজা তাহাকে ভাল বাসিতেন, তাহা নহে, সেই ভালবাসার সঙ্গে, তাহার উপর রাজার একটা সম্মান-বুদ্ধিও ছিল। রাজা ভঁাহাকে সর্বদা সা-সম্মানে দেখিতেন। রাজা জানিতেন যে, ইরাবতী সমস্ত সহ্যু করিতে পারেন, কেবল একটি বিষয় ইরাবতীর অসহা। প্ৰণুয়ে প্রতিদ্বন্দী তিনি সহা করিতে পারেন না। ওরূপ কল্পনাতেও তিনি উন্মাদিনী হইয়া উঠেন, তখন তাহার। আর জ্ঞান থাকে না ।