পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইরাবতী । (om”ፃ তিনি চতুর্দিকে চাহিলেন, দেখিলেন, তাহার কেহই নাই, কোন অবলম্বনই নাই। ইরাবতীর প্রাণে বড়ই বেদন লাগিল। কিন্তু সে বেদনা, তিনি নীরবে ভোগ করিতে লাগিলেন। অন্য কাহাকেও জানিতে দিলেন না। তিনি মনে মনে স্থির করিলেন যে, আর লোকালয়ে মুখ দেখাইবেন না। আর কেনই বা দেখাইবেন ? তিনি পরিচারিকা ছিলেন, আপনার অবস্থায় আপনি সন্তুষ্ট ছিলেন । পৃথিবী-পাতি তঁহার হৃদয়ে উচ্চ আশা জাগাইয়া, তাঁহাকে উচ্চস্থানে আরূঢ় করিয়া, অতর্কিতে ফেলিয়া দিয়াছেন, পূর্বে CR স্থানে ছিলেন, তথায় নহে, তদপেক্ষা অনেক নিম্নে ফেলিয়া দিয়াছেন। তাই নিঃসম্বলা নিরাশ্রয়া ইরাবতী আর জগদবাসীর সমক্ষে মুখ দেখাইতে বাসন রাখিলেন না। তিনি স্থির করিলেন ষে, অতীত সুখের স্মৃতি বক্ষে লইয়া, গহন কাননজাত কুসুমের স্বস্যায়-অবিজ্ঞাতভাবে বিশুষ্ক হইবেন । যখন এই সঙ্কল্প করিলেনঃ তাহার পর হইতেই তাঁহার হৃদয়ে একটু বলা আসিল। যতক্ষণ তৃষ্ণ, ততক্ষণই যাতনা, তৃষ্ণা দূর করিতে পারিলে, যাতনা কিসের ? তাই দেখিতে পাই, যখন, সমুদ্র গৃহে, চিত্রলিখিত অগ্নি-মিত্রের নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে যাইয়া, তথায়ও, ইরা৯ বতী, রাজা, মালবিক এবং সেই ঘটকচূড়ামণি বিদূষককে আবার সমবেতভাবে দেখিতে পাইলেন, তখন কিন্তু তিনি কোন প্ৰকার ক্ৰোধের ভাব দেখান নাই, বেশী কথা কহেন নাই। “যেখানে জীবনের প্রথম সুখের ছবি চিত্রিত রহিয়াছে, সেই সমুদ্র-গৃহে,