পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইরাবতী । * ObyÐ ক্ষিপ্ৰ-পদে অন্তঃপুরে প্রস্থান করিলেন। যে ধারিণী তাঁহার জীবনের সমস্ত সুখ-শান্তির মুলোচ্ছেদ করিয়াছেন, বসুলক্ষী তাহারই কন্যা ; কিন্তু ইরাবতী সে সমস্ত মনেও করিলেন না । তাহার এই সর্বনাশের জন্য তিনি আপন অদৃষ্টকেই দোষী করিয়াছিলেন, পরের উপর দোষ দিতেন না । এতই উদার তাহার অন্তঃকরণ । Y. . যখন মালবিকার বিবাহ, তখন ধারিণী ইরাবতীর মতামত জিজ্ঞাসা-পূর্বক, বিবাহক্ষেত্রে উপস্থিত হইবার নিমিত্ত তাঁহাকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন। কাতরপ্রাণ ইরাবতী শান্তভাবে বলিয়া পাঠাইলেন, “আপনি মহিষী, যাহা ইচ্ছা, অমান-হৃদয়ে করুন, আমি কে ? আমার মতামতে আসে যায় কি ?” ʼ ... যখন রাজা নব-পরিণয়োৎসবে উন্মত্ত, সেই সময়ে, দুঃখিনী ইরাবতী তাহার শেষ কথা রাজাকে বলিয়া পাঠাইলেন যে, “আমি 'অপরাধিনী, আপনার যথোচিত সম্মানরক্ষা করি নাই; আপনি এখন অভিপ্রেতি লাভে পরম আনন্দিত, তাই আমার শেষ প্রার্থনা, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।” অভিমানী বিদিশেখর ইরাবতীর এই শেষ প্রার্থনারও কোন উত্তর দিলেন না। কিন্তু সফলভিলাষা। গর্বিত মহারাণী বলিলেন, “আমার স্বামী অবশ্যই তঁহকে ক্ষমা করিবেন।” আজ ধারিণী গর্বভরে বলিলেন, “আমার স্বামী ।” ইহার পর ইরাবতীর আর কোন সন্ধান পাওয়া গেল না। উপেক্ষিত বন-কুসুমের ন্যায়, তিনি কোথায় পড়িয়া রহিলেন, কে জানে ? . . . . .