পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

veS R কালিদাস । নৃত্য-শেষে, যখন মালবিকা চলিয়া গেলেন, আর রাজা বিষন্ন-হৃদয়ে হরদত্ত-শিষ্যের অভিনয় দর্শনের জন্য, বিরক্তির সহিত বসিয়া রহিলেন, তখন চতুর বিদূষক, বৈতালিকদিগের মধ্যাহ্নকালসূচক স্তুতিপীঠ শ্ৰবণ মাত্ৰেই, কত প্ৰমাণ-প্রয়োগ সহকারে, সময়ে স্নানাহারের উপকারিতা বুঝাইয়া দিলেন। যেন আর ক্ষণকালও বিলম্ব করা বিধেয় নহে। করিলেই স্বাস্থ্য-ভঙ্গ নিশ্চিত । বিদূষকের উদ্দেশ্য ছিল-রাজাকে মালবিকা-প্ৰদৰ্শন, তাহা ত হইয়া গিয়াছে, তবে আর কেন ? হরদত্তের পরীক্ষার প্ৰয়োজন কি ? ধারিণী নিকটে ছিলেন বলিয়া, নৃত্যের দিন, রাজা মালবিকাকে ভাল করিয়া দেখিতে পারেন নাই। আর একবার দেখিবার অভিলাষ । কিন্তু ধারিণীর ভয়ে সে অভিলাষ প্ৰকাশ করিবার সামর্থ্যও নাই। বিদূষক আমনি म६ -হইলেন । রাজাকে আশা দিলেন। মালবিকার পরিচারিক বকুলবলিকাকে হস্তগত করিয়া সাক্ষাৎকারের সকল ব্যবস্থা করিলেন । কিন্তু সে সাক্ষাৎকারের এক প্ৰধান অন্তরায় আছেন ধারিণী । যদি তিনি কোনরূপ বিড়ম্বনা ঘটাইয়া বসেন, তাই চতুর বিদূষক পূর্বাহ্নেই সে পথ রুদ্ধ করিলেন। ধারিণী একদিন দোলারোহণ করিয়াছেন, এমন সময়ে চঞ্চল বিদূষক যেন আরও একটু চঞ্চলতর হইয়া, ধারিণীকে দোলা হইতে ফেলিয়া দিলেন। স্কুলাঙ্গী মহারাণী দোলাশ্মলিত হইয়া চরণে আঘাত-প্ৰাপ্ত হইলেন । কতিপয় দিবস শয্যাশায়িনী হইয়া রহিলেন । এই