পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৩

दक्षिाग्न । R S অতিরঞ্জিত, তাহাতে, ঐ সমুদয় কাব্যের দ্বারা সহৃদয়গণের সম্পূর্ণ আনন্দরাসানুভূতির কিঞ্চিৎ ব্যাঘাত ঘটে। তবে তিনি ইহাও বুঝিয়াছিলেন যে, ব্যাস-বাল্মীকির বর্ণিত বিষয়ের পুনর্বর্ণন-প্ৰয়াস এক প্রকার বাতুলের কাৰ্য্য। তাই পরম সারস্বত মহাকবি এক অতি সমীচীন পন্থা আশ্রয় করিয়াছেন। ব্যাস-বাল্মীকি, তঁহাদের অমৃত-নিঃস্তন্দিনী কবিতায় যে সমুদয় বিষয়ের চমৎকারিণী বৰ্ণনা করিয়াছেন, কালিদাস তাহা সবিস্তর বর্ণন করেন নাই। অতি অল্প কথায়, দুই একটী শ্লোকে, যেটুকু না বলিলে নয়, মাত্র সেইটুকু বলিয়াই তাহার শেষ করিয়াছেন। আর যে সমুদয় বিষয়ের ‘ বর্ণনা ব্যাস-বাল্মীকি কর্তৃক অতি সংক্ষেপে পরিসমাপ্ত হইয়াছে, বা যে সমুদয় স্থল তঁাহারা উপেক্ষা করিয়াছেন, নিপুণ কবি কালিদাস, সেই সমুদয়ের অতিবিস্তত, সম্পূর্ণ ও মনোজ্ঞ বর্ণনা করিয়া জগৎ মুগ্ধ করিয়াছেন, সহৃদয়-নয়নে এক অদৃষ্টচর দৃশ্য প্রতিফলিত করিয়াছেন।' কালিদাসের সমগ্র গ্রন্থাবলীই এই ধ্রুব সত্যের উপর -এই মহাভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। তাই রামায়ণ মহাভারতে যাহার সবিস্তর বর্ণন আছে, কালিদাসের কাব্যে তাহার অতি সামান্য ভাবে নির্দেশ আছে। আবার ঐ এী গ্রন্থে যাহা সঙক্ষেপে বৰ্ণিত, কালিদাস-গ্রন্থে তাহার সবিস্তর বৰ্ণন। সুতরাং ব্যাস-বাল্মীকির সহিত বা অপরাপর পুরাণকর্তৃগণের সহিত, কোন নির্দিষ্ট বিষয় লইয়া, কালিদাসের কোন প্রকার সঙ্ঘর্ষ উপস্থিত হয় নাই। তুলনার অবসর ঘটে নাই।