পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO'S কালিদাস । কল্পনাপ্রবীণ্য বিচার করিলেই, সুধীসমাজ এ বিষয়ের চূড়ান্ত মীমাংসা করিতে পরিবেন । শকুন্তলা ব্যতীত, সংস্কৃত সাহিত্যে, মালবিকাগ্নিমিত্রের সমকক্ষ অন্য নাটক নাই। উহার সর্বাংশই স্বাভাবিক ঘটনায় পরিপূর্ণ। অস্বাভাবিক একটি কথাও, অথবা একটি বর্ণও মালবিকাগ্নিমিত্রে পরিদৃষ্ট হয় না। যিনি একবার মালবিকাগ্নিমিত্রের দৃঢ়ায় স্বাভাবিক-ঘটনালঙ্কত নাটক প্রণয়ন করিয়াছেন, তিনি যে, পরে আবার বিক্রমোর্বিশীর ন্যায় অতিপ্ৰকৃতিক ঘটনা-বহুল নাটক রচনা করিবেন, ইহা স্বীকার করিতে প্ৰবৃত্তি হয় না। যদি বুঝিতাম যে, বিক্রমোর্বিশীতে মালবিকাগ্নিমিত্ৰ অপেক্ষা অধিকতর সৃষ্টিকৌশল প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে, যদি বুঝিতাম। যে, নাটকত্বের অনুসারে অভিজ্ঞান শকুন্তল যেমন উৎকৃষ্টতম, সেইরূপ বিক্রমোর্বিশীও অন্ততঃ মালবিকাগ্নিমিত্ৰ অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর, তাহা হইলেও না হয়, মালবিকাগ্নিমিত্ৰকে বিক্ৰমেবৰ্বশীর পূর্ববৰ্ত্তী বলিয়া স্বীকার করিতাম। কিন্তু বিক্রমোর্বিশী কোন কোন কবির ‘’ কাব্য হইতে উৎকৃষ্টতর হইলেও, উহাতে এমন কোনই বিশেষ গুণ নাই, যাহাতে, উহা মালবিকাগ্নিমিত্ৰকে অতিক্রম করিতে পারে । ية কুমারসম্ভবের সমালোচনা কালে প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে যে, প্ৰথম কবিই অতিপ্ৰকৃতিক ঘটনার আশ্রয়ে কাব্য নিৰ্ম্মাণ করিতে প্ৰবৃত্ত হয়েন। স্বকীয় নিৰ্ম্মাণ-কৌশলের উপর প্রগাঢ় বিশ্বাস, না জন্মিলে, কোন মনস্বীই নিত্য পরিদৃশ্যমান জগতের কোন