পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રર কালিদাস । দূরদর্শী মহাকবি নিজেই সে পথ অবরুদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। ফলতঃ, এই কারণেই তদীয় রচনা, সংস্কৃত সাহিত্যের আদৰ্শস্থানীয় হইয়া রহিয়াছে। কালিদাসের আবির্ভাবের পূর্বে বা পরে, সংস্কৃত ভাষায়, যিনি যে কোন কাব্যই প্ৰণয়ন করিয়াছেন, তাহার কোন খানিও চমৎকারিতায় বা হৃদয়-গ্ৰাহিতায়, কালিদাসরচনার ত্রি-সীমায়ও পৌছিতে পারে নাই। তঁহার রচনা যেমন প্ৰাঞ্জল, তেমনই সুমধুর। তদীয় রচনার প্রতিবর্ণে প্ৰসাদ এবং মাধুৰ্য্য-গুণের সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়। র্তাহার উপমার তুলনা নাই। অপর কোন দেশের কোন কবি, উপমা-সম্পদে তাহার ন্যায় সৌভাগ্যবান কি না, তাহা বলিতে পারি না, কিন্তু ভারতের অন্য কোন কবিই যে, অতি সংক্ষেপে, সর্বলোক-বিদিত বিষয়ের উপমা-প্রদানে কালিদাসের ৩ সমকক্ষ নহেন, একথা মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি। র্তাহার উপমা-প্ৰয়োগের এমনই কৌশল যে, উপমান ও উপমেয়ের সাধৰ্ম্ম্য বা সাদৃশ্য-বোধে কাহারও কোন প্রকার প্রয়াস করিতে হয় না । অপ্ৰসিদ্ধ বা অপ্রচলিত বিষয়ের সহিত তিনি কদাচি কোন পদার্থের উপমা দেন নাই। তাহার শব্দ-বিন্যাস-নৈপুণ্য এত অধিক ছিল যে, তদীয় কাব্যাবলীর কোন স্থানের কোন একটা শব্দ পরিবর্তন বা পরিবদ্ধন করা যায় না। তাহার এক একটি শ্লোক যেন এক একখানি ছবি । শ্লোকাবৃত্তির পরিসমাপ্তি হইলেই পাঠকের মানস-পটে যেন একখানি মনােহারিণী প্রতিকৃতি আপনিই আসিয়া উদিত হয়। যখন তাঁহার—