পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৰ্ব্বশীর মুক্তি ও পুনর্বন্ধন। 8S উর্বশীকে মুচ্ছিত কারিয়া লইঘুেন। তঁহার সেই দিব্য কান্তি, দিব্য যৌবন—সমস্তই ছিল, সে দিব্য হৃদয়ের সেই সৌন্দৰ্য্যও অক্ষুন্ন ছিল, ছিলনা কেবল সেই দিব্য লোকের স্মৃতি । তাহা থাকিলে, উর্বশী কদাচ একপদে পুরূরবময় হইতে পারিতেন না। উর্বশীর মুচ্ছ সৃষ্টি করিয়া, মহাকবি যেন বিধাতৃস্থষ্টিকেও পরাস্ত করিলেন । রাজর্ষি পুরূরবা, সেই মূচ্ছিত প্ৰতিমাকে, একবার পূর্বেই দর্শন করিয়াছেন, এখন আবার সেই স্বর্ণপ্ৰতিমার প্রাণসংযোগ হইতেছে, তাহাও দেখিতে লাগিলেন। তার পর-ক্রমে, সৌন্দৰ্য্য-দৰ্শন-পটু, প্রতিষ্ঠানপতি পুরূরবাকে, মহাকবি কালিদাস, একটি একটি করিয়া, উর্বশীর শান্তহৃদয়ের স্তরগুলি দেখাইলেন। সে এক নিরুপম দৃশ্য ! উৰ্বশীর প্রতিকথায়, প্রতি অঙ্গবিক্ষেপে, রাজার মনে এক একটা নূতন ভাব জাগরূক। হইতে লাগিল। ক্রমে তাহারা, উভয়ে, উভয়ের সৌন্দৰ্য্যে, উভয়ের ভাবনায় ডুবিয়া গেলেন। এমন সময়ে গন্ধৰ্বরাজ চিত্ররথ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। রাজার সম্মতিক্রমে, তিনি, উর্বশী-প্ৰভৃতিকে লইয়া স্বৰ্গে প্ৰস্থান করিলেন। যাইবার সময়ে, উর্বশীর কণ্ঠমালা লতা-বিটপে সংসাত্ত হইল, তিনি সেই মালা মোচন করিবার জন্য মুখ ফিরাইয়া, সাধ মিটাইয়া, আর একবার সেই “উকবীতল-শীতল দু্যতি” পুরূরবাকে দেখিয়া লাইলেন। হার মােচন আর হইল না। তিনি তখন অন্যমনস্কভাবে, চিত্ৰলেখাকে বলিলেন, ‘সখি ৷ তুমি ইহাকে মোচন কর।”