পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্ত-চত্বরিৎশ অধ্যায় । অভিশপ্ত উর্বশী । মুছােভঙ্গের পর, যখন উৰ্বশী বুঝিলেন যে, ইনিই আমার ত্ৰাণ-কৰ্ত্তা এবং প্ৰাণ-দাতা, তখন তাঁহার কোমল নারীহাদয় কৃতজ্ঞতারসে আপ্নত হইল। এক অনুপমভাবে মগ্ন হইল। এমন সময়ে, ধীরে ধীরে, সে কৃতজ্ঞ হৃদয়ে, কবি, অনুরাগের অরুণরেখা, অতি সন্তৰ্পণে অঙ্কিত করিলেন। প্রথমতঃ, মুচ্ছ রূপী মহাপ্রলয়ে, যেন, উর্বশীকে বিলুপ্ত করিয়া, পরে—মুচ্ছাপগমে, নবচৈতন্যের দ্বারা নূতন উর্বশীর গঠনপূর্বক, সৌন্দৰ্য্যস্রষ্টা মহা কবি, সেই নবীন ললনার নবীন, অনন্য-পরায়ণ, অন্তঃকরণে নূতন প্রণয়ালোক জ্বালিয়া দিলেন। তামসী নিশার অবসানে, প্ৰাণী যেমন উষার মোহিনী মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া আত্মবিস্মৃত হয়,প্ৰভাতের বিমুক্ত সমীরণে গাত্রনির্বাণ লাভ করে, তদ্রুপ, উর্বশীও তাঁহার তমোময়ী মুচ্ছার অবসানে, নবীন প্ৰভাতে যেন নবজীবন লাভ করিয়া, এক অদৃষ্টপূর্ব নূতন স্বর্গের দর্শন পাইলেন। মহাকবির এই নূতন স্বর্গের নিকটে, মহেন্দ্রের সেই পুরাতনী অমরাবতীও তুচ্ছ। উর্বশী। অবশ্য-হৃদয়ে, যেন কাহার অঙ্গুলি সঙ্কেতে, সেই নূতন স্বর্গে প্রবেশ করিলেন। W ሤኔ " চিত্ররথ যখন তঁহাকে স্বৰ্গে লইয়া গেলেন, তখন, তাহার বাহা দেহ-স্কুল দেহ গেল বটে, কিন্তু তাঁহার আন্তর দেহ-সূক্ষ