পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 RO কালিদাস । হৃদয়ের শান্তি-কামনায় উপবেশন করিয়া আছেন । সঙ্গে নিত্য সহচর বিদূষক । যে স্থানে প্রবেশমাত্ৰে, হৃদয়ে কত পুরাতন কথা জাগিয়া উঠে, জীবনের সকল স্বপ্নের কাহিনী একটি একটি করিয়া মনে পড়ে, বিরহী পুরূরবী তাদৃশ উদ্দীপক স্থানে উপনীত। ঔষধ-ভ্ৰমে তিনি কুপথ্য-সেবনে উদ্যত । তাহার রাজ-কাৰ্য-ব্যাকুল অন্তঃকরণে, যে অনল স্ফলিঙ্গাকারে ছিল, এইক্ষণ, তাঙ্গার ভাবানান্তর-বিমুক্ত হৃদয়ে সেই অনল প্ৰচণ্ড * দাবানলের আকার ধারণ করিল। ইহ জন্মে আর উর্বশীর সহিত দেখা হইবে না-ভাবিয়া, রাজা কত বিলাপ করিতেছেন । তাহার চিত্ত একান্ত অধীর হইয়াছে। পাশ্বে উর্বশী দণ্ডায়মানা। তিরস্করিণী বিদ্যার প্রভাবে, তিনি লোক-নয়নের অদৃশ্য। তিনি রাজার সমস্ত ব্যাপার দেখিতেছেন, সমস্ত কথা শুনিতেছেন। পূৰ্বে-সেই প্রথমবারে, উর্বশীর যে আশা অপূর্ণ ছিল, এবার তাহা পূৰ্ণ করিয়া লইতেছেন। রাজার কাতরতাদর্শনে, কোমল-প্ৰাণ উৰ্ব্বশীর আর ধৈৰ্য্য রহিল না। তিনি অগ্ৰে মেনকাকে রাজার নিকটে পঠাইয়া দিলেন। কিয়ৎকাল পরেই, মেনকা উর্বশীর নিকটে যাইয়া যখন বলিল যে, রাজার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, তিনি উন্মত্তপ্রায়, তখন উর্বশীর আর জ্ঞান রহিল। না। তিনি অনেক প্ৰয়াসে, চিত্ত স্থির করিয়া, দিব্য-কান্তিপরিগ্ৰহ-পূর্বক, ব্যগ্ৰভাবে পুরূরবার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। আকাঙিক্ষত-লাভে র্তাহারা উভয়েই পরম শ্ৰীত হইলেন । কবি এই ভাবে, দ্বিতীয়বার রাজার সহিত উৰ্বশীর মিলন করাইলেন।