পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80o কালিদাস । একটা পৃথগৃভাব ছিল, আজ উভয়ে একবারে সত্যসত্যই এক হইয়া গেলেন । gf মহাকবি, বিশ্বকৰ্ম্মার বিচিত্ৰ বিশ্বের কোন পদার্থে তাহার নায়ক নায়িকার যান প্ৰস্তুত করিলেন না । তিনি, বিশ্বাতীত এক নূতন পুষ্পকে রাজাকে লইয়া আসিলেন। যখন কবির। এই বিরাট সৃষ্টির কথা মনে ভাবি, তখন বিস্মিত হই, কবির বিচিত্র-সৃষ্টি-কৌশল-দর্শনে স্তম্ভিত হই। নিম্নে বিশাল ধরণী, ‘সুজলা সুফলা, শস্য-শ্যামলা’ বসুধা, আর উদ্ধে মেঘময়ী প্রিয়তমার আশ্রয়ে সঞ্চরমাণ রাজা, এ এক অপূর্ব সৃষ্টি ! কালিদাসের এই গ্রস্থে, এই যে বিচিত্র কল্পনার উন্মেষ দেখিতেছি, ইহাই, মনে হয়, তদীয় রঘুবংশের ত্রয়োদশে, রাম-সীতার আকাশপথে অযোধ্যাগমনের বর্ণনে পরিপকভােব ধারণ করিয়াছে । প্ৰতিষ্ঠানে প্ৰতিনিবৃত্ত হইয়া, কিয়ৎকাল অতিবাহনের পর, যখন উর্বশী জানিলেন যে, তিনি তঁহার যে সদ্যোজাত সন্তানকে রাজার অজ্ঞাত-সারে, চ্যবণাশ্রমে গচ্ছিত রাখিয়াছিলেন, সেই পুত্ৰ এখন বয়ঃপ্ৰাপ্ত হইয়া রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইয়াছে, তখন তিনি, ইন্দ্রের আদেশ স্মরণ করিয়া কঁাদিতে লাগিলেন । ভারতের অভিশাপের পর, ইন্দ্ৰ বলিয়াছিলেন, “যাও উর্বশি ! যত দিন রাজা পুরূরবা তােমার পুত্রের মুখ না দেখিবেন,তত দিন তুমি মৰ্ত্তে থাকিও ; রাজা যখন তোমার পুত্ৰমুখ দর্শন করিবেন, তখন পুনরায় স্বৰ্গে ফিরিয়া আসিও।” সুতরাং আজ উর্বশীর