পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 8 R কালিদাস । সাঁতীকুলের আভরণস্বরূপ, পতিকৃত-ব্যভিচার-বিদ্বেষ প্ৰবল। তবে সে বিদ্বেষের বশে, তিনি, পরের সর্বনাশ করেন না, করিতে তাহার প্রবৃত্তিই জন্মে না । তিনি আপনি হৃদয়ানলে আপনাকেই ভস্মীভূত করিয়া, তাহার প্রিয়তমের প্রণয়-মার্গ নিষ্কণ্টক করেন। বিদিশার রাণী ধারিণী, প্ৰতিপক্ষীরূপিণী ইরাবতীর সর্বনাশের জন্য, মালবিকারূপী শাণিত অস্ত্রের প্রয়োগ করিয়াছিলেন । ধারিণী নিজেত মজিলেনই, অন্যকেও মজাইলেন। তঁহার নিজের সুখ অনেক দিন ঘুচিয়াছিল, পরের সুখের পথেও কণ্টক রোপণ করিলেন। আর ঔশীনারী যখন বুঝিলেন যে, এবারকার মত তাহার জীবনের প্রণয়-স্বপ্ন ভাঙ্গিয়াছে, তখন শান্তহৃদয়ে আসিয়া, তাহার সেই প্ৰাণাধিকের চরণে, আপন প্ৰণয়,ব্রতের উদযাপন করিয়া গেলেন। তিনি নিজের বক্ষ বিদীৰ্ণ করিয়া সেই শোণিতে, তাহার প্রাণাধিকের নব প্রণয়-প্রতিমার অঙ্গরাগ করিয়া দিলেন। হিন্দুর আদর্শ রমণী মনের দ্বারা, কাৰ্য্যের দ্বারা, বা শরীরের দ্বারাও কখনো পতির প্রতিকূল আচরণ করিবে না, ইহাই শাস্ত্রের নির্দেশ, ঔশীনারী ইহা বর্ণে বর্ণে পালন করিলেন । আৰ্য্যবংশের আদর্শ রমণী হইতে হইলে, র্তাহার কিরূপ ক্ষমা, তিতিক্ষা, নিস্বর্থপরতা ও আত্ম-সুখে স্পৃহাশূন্যতা থাকা চাই, তাহা ঔশীনারী আত্ম-দৃষ্টান্তে প্ৰতিপন্ন করিলেন । আৰ্য্যবংশের সাধবী ললনা যে, আত্মভোগে নিয়ত “অনুৎসেকিনী' থাকিয়া কিরূপ ভাবে পতির চরণ-পরিচর্য্যা করেন, পতিরূপী পরম দেবের গ্ৰীত্যৰ্থে জগতে আৰ্য্য-ললনার