পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী ও শীনারা । 880 অনুৎসৰ্জনীয় যে কিছুই নাই, প্রয়োজন হইলে আৰ্য্য-ললনা আপন হৃৎপিণ্ড আপনি উৎপাটিত করিয়াও যে, প্ৰাণাধিকের চরণে সহাস্য-বদনে উপহার প্রদান করিতে পারেন, একথা ঔশীনারী আত্ম-দৃষ্টান্তে সপ্রমাণ করিলেন। এরূপ উন্নত হৃদয়া, দক্ষিণ্যবতী, পতি-গ্ৰীতি-মাত্ৰ-সম্বল, সরল, রমণী-দেবীর পরিচয়, আমরা সংস্কৃত অন্য কোন দৃশ্যাকাব্যে দেখিতে পাই না। আত্মত্যাগের এতাদৃশ দৃষ্টান্ত অন্য কোন রমণী দেখাইতে পারেন নাই। বিধাতু-সৃষ্টিতে এরূপ মানবী দেবী দুর্লভ। কবি-সৃষ্টিতে কদাচিৎ সম্ভব। তাই কবি-সৃষ্টি বিধাতু-স্মৃষ্টির অতিবৰ্ত্তিনী। এইরূপ একটি আদর্শ চরিত্র সৃষ্টি করিয়া কবি সমাজের যে পরিমাণে উপকার করেন, শত বৎসর যাবৎ শত সহস্ৰ বাগয়ী, তারকণ্ঠে বক্তৃতা করিয়া, তাহার কিয়দংশও সাধিত করিতে পারেন না । যে দেশের সমাজে ঐ রূপ রমণী-চরিত্র আলোচিত হয়, সে দেশ এবং সেই সমাজ সর্বথা সম্মাননীয় ; আবার যে সকল মহাত্মা ঐরূপ আদর্শ চরিত্র সৃষ্টি করিয়া সমাজুে আদর্শের পূজা প্ৰবর্তন করেন, সেই বিধাতৃবর কবিগণও সর্বতোভাবে পূজাহঁ। কবিগণ চরিত্র সৃষ্টি করেন, লোকে সেই আদর্শ চরিত্রের অনুকরণে স্ব স্ব সমাজ গঠন করিয়া লয়। পরোক্ষভাবে কবিগণই সমাজের গঠন-কীৰ্ত্তা, মানুষের পরম হিতৈষী । উর্বশীর প্রথম দৰ্শনাবধি, রাজা কেমন যেন শূন্য-হৃদয়, নিয়ত ঔদাসীন্যময় হইয়াছেন। তঁহার নয়ন-মন, পুত্তলিকার ন্যায়। বিষয়ের স্বরূপাববোধে যেন অক্ষম। র্তাহার চক্ষে, বদনে, অথবা