পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লতাময়ী উর্বশী । 8○> মৰ্ত্তবাস শেষ হইল। উর্বশী চলিয়া যাইবেন। সমস্ত রাজধানী বিষাদে মগ্ন। এমন সময়ে, হঠাৎ নারদ ইন্দ্রের আদেশ লইয়া উপস্থিত হইলেন। ইন্দ্ৰ নারদমুখে বলিয়া পঠাইয়াছেন যে, ‘উর্বশীর আর স্বৰ্গে আসিয়া প্রয়োজন নাই, সে মৰ্ত্তেই থাকুক। পুরূরব। আমার পরম সুহৃদ, তাহার প্রাণে ব্যথা লাগিবে।” উৰ্বাণীর আর যাইতে হইল না। তিনি নিশ্বাস ছাড়িয়া বলিলেন,- 'याष्ट्रा (श्! गझ९ क्य् िशिष्ठ्या छत्रनौ९ !', 'थांश !’ আমার হৃদয়ের শল্য যেন অপনীত হইল।” উর্বশী পুত্ৰোৎসঙ্গবতী হইয়া হৰ্ষিত-হৃদয়ে, পুরূরবার পাশ্বের্ণ চিরস্থায়িনী হইলেন। চপলা এত দিনে অচলা হইল। উর্বশীকে আর স্বৰ্গে গমন করিতে হইল না। আর তিনিও, পুরূরবা যে স্বৰ্গে নাই, সে স্বৰ্গে যাইতে ভ্ৰমেও বাসনা করিলেন না। মহাকবি কালিদাসের সৃষ্ট এই উর্বশী-চরিত্রে দেখিলাম, মানুষের হৃদয়-স্বৰ্গ নরক উভয়ই গঠন করিয়া লইতে পারে। উর্বশী বাঞ্ছিত বস্তুর লাভে মৰ্ত্তেও স্বৰ্গসুখ পাইয়াছিলেন ; সে ইন্দ্রের অমরাবতী, মন্দাকিনী সৈকত, নন্দনবন, কল্পপাদপ, সব ভুলিতে পারিলেন। ‘যদি মনের মত মানুষ পাওয়া যায়, তবে পৃথিবীই স্বৰ্গ, অন্যথা জগৎ নরকাধিক ভীষণ, দুঃসহशांड्नांभश ।