পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 | || 88) পায় ? এই অপকাৰ্য্যের জন্য, তোমাকে অনেক অনুশোচনা করিতে হুইবে, আমার ভয় হয়, সেই সময়ে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে ৷’’ (১) দেবীর অভিমান কথায় এই প্ৰথম এবং এইই শেষ। তিনি সজল-নয়নে সে স্থান হইতে নিস্ক্রান্ত হইলেন। দেবীর এই অভিমান দোষাবহ নহে। ইহা আৰ্য্যরমণীর অলঙ্কার, সতীর শিরোভূষণ। মণিহারা ফণিনীর রোষ—উন্মাদ প্ৰকৃতি-সিদ্ধ। এ অভিমান দম্ভের কাৰ্য্য নহে। এ অভিমান হৃদয়-দেবতার চরণে আপনি হৃদয়-বেদনার অভিব্যক্তি মাত্র। এ দেবী চলিয়া গেলেন। রাজার অনুনয়-বিনয়-সমস্তই বিফল হইল। বিদূষক রাজাকে সান্থনা করিয়া কহিলেন— “বর্ষার অপ্ৰসন্ন স্রোতস্বিতীর ন্যায়, দেখিতেছি, দেবী চলিয়া গেলেন। আর কীৰ্ত্তব্য কি ? আপনি গাত্ৰোথান করুন।” । অমনি রাজা বলিলেন—“সখে । দেবীর অপরাধ নাই। দেখ, ‘কৃত্ৰিম-রাগ-যোজিত”। মণি যেমন, তাহার কৃত্ৰিম সৌন্দৰ্য্যে দক্ষ মণিকারের হৃদয় মুগ্ধ করিতে পারে না, তদ্রুপ, “অন্য-সংক্রান্তহৃদয়’ দয়িতের রস-হীন প্রিয়-বচনময় শত অনুনয়েও মনস্বিনী রমণীর অভিমানী হৃদয় কদাচ বিমুগ্ধ হয় না। আমার মন উর্বশীময় হইলেও, কিন্তু, দেবী ঔশীনারীর প্রতি এখনও সে মন পূর্ববৎ আছে, তবে দেবী আজ আমার এই যে প্ৰণিপাত-লঙ্ঘন করিলেন, ইহার প্রতিফল-স্বরূপ, আমিও কিয়াৎকােল দেবী-সম্বন্ধে (১) বিক্রমোেৰ্বশী, ২য় অঙ্ক। শেষ অংশ। VR)