পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cादी ७३ीनईी । SGS জন্য, রাজাকে ঘোর অনুশোচনা করিতে হইবে, তাহার অশেষ কষ্ট হইবে। বাস্তবিক হইয়াছিল ও বটে। চন্দ্ৰবংশের অবতংস, সাগর।াম্বারা বসুন্ধরার একচ্ছত্র সম্রাট হইয়াও, তাহাকে রাজধানী পরিত্যাগ-পূর্বক, বনে বনে কত কাল উন্মত্ত হইয়া ভ্ৰমণ করিতে হইয়াছিল। পশু, পক্ষী, তৃণ, লতা—এমন কেহই অবশিষ্ট ছিল না, যাহার নিকট সেই পৃথিবীপতি যুক্ত-করে কৃপা-প্ৰাৰ্থন না কঁরিয়াছিলেন। দেবী ঔশানরী যেন পূর্বাহুেই—সায়ংকালের এই গম্ভীর মূৰ্ত্তির ছায়া দর্শন করিতে পাইয়াছিলেন, তাই তাহার মুখ হইতে ঐ রূপ ভয়ের কথা বহির্গত হইল। তঁহার প্রিয়তমের ভবিষ্যচ্চিন্তায় তাহার কোমল হৃদয় কাপিয়া উঠিল । কিয়াৎকাল। এইভাবে অতিবাহিত হইল। রাজা ও দেবীতে পরস্পর সাক্ষাৎ নাই। অভিমানী রাজা ইচ্ছা-পূর্বক, দেবীর সহিত সাক্ষাৎকার পরিবর্জন করিয়া চলিতেন । পতিব্ৰতা ঔশীনারীর প্রাণে ইহাতে যারপর নাই বেদনা লাগিল। এরূপ ঘটনা, তঁহার জীবনে এই প্ৰথম । রাজা श्रृक्लवान्दै অন্য অবলম্বন ছিল, অন্য চিন্তা ছিল, কিন্তু রাজময়-জীবিত ঔশীনারীর ত আর অন্য ধ্যেয় ছিল না,-তিনি রাজার এই কঠোর ব্যবহারে, বড়ই কাতর হইয়া পড়িলেন। তিনি এতদিনে বুঝিলেন যে, অভিমান বৃথা । যাহার উপর তঁহার এই অভিমান, তিনি ত আর এখন সে তিনি নাই। তবে আর এ অভিমানে লাভ ? জগতে, যাহার অভিমান ভঙ্গ কিরিবার কেহ নাই, তাহার আবার অভিমান কেন ? তাই সাধবী মহারাণী আপন অভিমানের 徽