পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস। و\?S পতিগৃহে কুমার অজের শোভাযাত্ৰা—একত্র মিলাইয়া পাঠ করিলেই একথার যাথার্থ্য হৃদয়ঙ্গম হয়। * কুমারের উক্ত-স্থানসমূহে যে সকল বিষয় বর্ণিত হইয়াছে, রঘুতে প্ৰায় সে সমস্তই পুনরাবৃত্ত হইয়াছে, এমন কি, কোন কোন স্থলে কুমারের অনেক শ্লোক পৰ্য্যন্ত অবিকল উদ্ধত হইয়াছে, কোন স্থলে ৰা, ঈষত পরিবত্তিত আকারে সেই ভাবেরই পুনরুল্লেখ করা হইয়াছে। ফলতঃ-কুমারসম্ভবে কালিদাস যে সকল হিরন্ময়ী প্ৰতিমা গঠন করিয়াছেন, রঘুবংশে, তাহদের অধিকাংশকেই যেন হীরকমুক্তা-খচিত অনৱদ্য আভারণে সজ্জিত করিয়াছেন। তাই বলিতে ইচ্ছা করে যে, কুমার-সম্ভার রঘুবংশের পূর্ব-রচিত। আর এক কথা ;-কুমারের নায়ক-নায়িক হর-পার্বতী, উভয়েই স্বর্গের দেবতা, স্বৰ্গ-মৰ্ত্ত-রসাতলের উপাস্য। আর রঘুবংশের প্রতিপাদ্য পুরুষগণ, মৰ্ত্তের—ভারতের সর্বপ্রধান নরপতির বংশীয়; বৈবস্বত মনুর বংশধর। একের লীলাস্থল স্বৰ্গমৰ্ত্ত-রসাতল, অন্যের লীলাস্থল কেবল মৰ্ত্তধাম । ইহাও ভাবিবার একটি প্রধান বিষয় । নবীন কল্পনায়—প্ৰথম কল্পনায়, এমন পদাৰ্থ বৰ্ণনা করাই সঙ্গত, যাহাতে কবির অনিয়ন্ত্রিত "কল্পনা ( unbounded imagination ) যথেষ্ট প্ৰযুক্ত হইতে পারে। প্রায়শঃ ইহাই হইয়া থাকে। মৰ্ত্তবাসীর নয়নে, সুকবির অঙ্কিত, অদৃশ্য-জগতের চিত্ৰ মনােজ্ঞ হইবারই কথা। কিন্তু মৰ্ত্তবাসীর নয়নে, মৰ্ত্তলোকের বর্ণনা,--নিয়ত পরিদৃষ্ট চিরপরিচিত পদার্থের বর্ণনা চমতকারিণী করিয়া তুলা বড়ই