পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস । পারেন, অকস্মাৎ ‘আকাশভবা সরস্বতীর’ সৃষ্টি করিতে পারেন । তঁহাদিগের সৌন্দৰ্য্য, কাৰ্য্য, বিভূতি প্ৰভৃতি, কবি যত ইচ্ছা, রমণীয়, অলৌকিক ও বিশাল করিতে পারেন। তাদৃশ স্থলে, কোন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কবির কল্পনাকে আবদ্ধ থাকিতে হয় না । কিন্তু ঐহিক পদার্থের বর্ণনকালে, কবিকে নিয়ত, ইহলোকের বাসনার ও ইহলোকের কল্পনার অধীন থাকিতে হয় । শরতের চন্দ্ৰ তুমিও দেখিয়াছ আমিও দেখিয়াছি। সেই শরচ্চন্দ্রের তুমি যদি বর্ণন করিতে যাও, তবে তোমাকে এমন কথা বলিতে হইবে, এমন সৌন্দৰ্য্য দেখাইতে হইবে, যাহা আমার প্রাকৃত নয়নে প্ৰতিফলিত হয় নাই, অথবা প্ৰতিফলিত হইলেও যেমন করিয়া দেখিতে হয়, সে ভাবে দেখি নাই, তবেই ত তোমার শরচ্চন্দ্ৰ-বৰ্ণনা চমৎকারিণী হইবে । সুতরাং চিন্তা করিয়া দেখ, অতীন্দ্ৰিয় পদার্থ অপেক্ষা ইন্দ্ৰিয়গ্রাহ পদার্থের বর্ণন করা বড়ই কঠিন কাৰ্য্য। সাধারণে যাহা দেখেন,তাহা ত তোমাকে দেখাইতে হইবেই, পরন্তু তদাতিরিক্ত কিছু যদি তুমি দেখাইতে না পারি, তবে মৰ্ত্তের পদার্থ লইয়া কবিত্ব প্ৰকাশ করিতে কদাচ সাহসী হইও না । তাই কালিদাস, অতিমৰ্ত্ত্য চরিত্র উপজীব্য করিয়া কুমারসম্ভব বিরচনা করিয়াছেন। তরে, হরপার্বতীকে বর্ণন ধৰ্ম্মে আবিষ্ট করিয়াছেন। উদার মানব-প্রকৃতির অতি শ্রেষ্ঠ শ্ৰেষ্ঠ গুণে দেবদম্পতিকে অলঙ্কত করিয়াছেন। দেবদেবীর আদর্শকল্প নিৰ্ম্মল চরিত্রে অতি বিশুদ্ধ পার্থিব ধৰ্ম্মের ছায়াপাত