পাতা:কালিদাস - রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दूभाद्ध-जख्य । QS) করিয়া পার্থিব দশকের নয়ন রঞ্জন করিয়াছেন। সেই জন্যই হরপার্বতীর চরিত্রের কোথাও কোথাও গৌণভাবে, বিশুদ্ধ মানব-প্রকৃতির বিশুদ্ধতম অংশের স্ফারণ দেখিতে পাই। অনেক স্থলে মনে হয়, বুঝি কোন দেবপ্রকৃতিসম্পন্ন মানবদম্পতির অপার্থিব প্রেমের চিত্ৰ দেখিতেছি। কিন্তু তাহাতেও আবার বৈচিত্র্য এই যে, সে মৰ্ত্ত্যধৰ্ম্ম প্ৰকৃতির কোথাও কোন প্ৰকার পার্থিব ভাবনার—পার্থিব ভোগলালসার লেশও নাই । তাই হরপাৰ্বতীর চরিত্র পার্থিবচ্ছায়া-সম্পন্ন হইয়াও অপার্থিব ও অনুপম । অতিমৰ্ত্য-চরিত-বৃত্তান্তময় কুমার-সম্ভব রচনার পর, কালিদাস এমন চরিত্ৰ বৰ্ণনা করিয়াছেন, যাহাতে মৰ্ত্ত্য ও অতিমৰ্ত্ত্য-উভয়েরই সন্নিবেশ আছে। সে চরিত্র মেঘদূতের যক্ষ ও যক্ষবন্ধুর। তাঁহারা স্বগের দেবযোনি হইয়াও মৰ্ত্ত্যের ভাবনার ও লালসার অধীন। তাহাদের বর্ণনায় স্বৰ্গমৰ্ত্ত উভয়ের সম্মিলিত চিত্ৰ আছে। তাহাতে যেমন জড় মেঘের দৌত্য আছে, “কনক-সিকতা-মুষ্টির ক্রীড়া আছে, তেমনই আবার কাঞ্চন-নিৰ্ম্মিত ‘বাসব্যষ্টির উপরে ময়ুরের তালে তালে নৰ্ত্তন আছে, মুগ্ধা যক্ষবধূর স্বর্ণবিলয়ের রুণু, রুণু শঞ্জিত আছে, অতীন্দ্ৰিয় ও ইন্দ্ৰিয়গ্রাহ পদার্থের মিশ্রণ আছে। কিন্তু তাহাতে একটি পদাৰ্থ নাই—আদর্শ নাই। যে আদর্শে সমাজের উপকার হইবে, কাব্য-প্ৰণয়নের মহৎ উদ্দেশ্য সুসিদ্ধ হইবে, সে নিরবদ্য আদশ নাই। তাহাতে, ‘চতুর্বর্গফল-প্রাপ্তি'-রূপ ठेgनoj नविड श्श नक्षे । তাই পরে, যখন নিজের ক্ষমতার উপর অগাধ বিশ্বাস