পাতা:কালী কৈবল্য দায়িনী.pdf/৭৭

কাল্পী কৈবল্য দায়িনী । ونه মহিষাসুরের জন্ম উপাখ্যান । পয়ার । শুনিয়া ভাগুরিকয় মুনিরে তখন । ঘুচিল সন্দেহ এতে শুন তপোধন। আর এক প্রশ্ন আছে কহ পুনৰ্ব্বার । মহিষাসুরের জন্ম হৈল কি প্রকার। অসুর হইয়া পায় দেবীর চরণ । পুৰ্ব্ব জন্মে সাধন। কি করিল এমন । আর কহিয়াছে পুৰ্ব্বে চণ্ডিকার বর। বিনাশিতে সহস্র করেতে দশ কর । এই সব বিস্তারিয়ে কহু দেখি সার । শ্রবণ করিতে অতি মানস আমার । মার্কণ্ডেয় বলে শুন কারণ ইহার । মহিষ অসুর নহে অনুর আকার । দৈত্য ফেরে দৈত্য দেহে জন্মে ত্রিলোচন । যার সাধ্য যে পাইল চণ্ডির চরণ | বিস্তারিত শুন দ্বিজ মহিষ আখ্যান । মহিষ হইল জন্তু সুরের সন্তান । দিতীর সন্তান জন্ত৷ দৈত্য মহাবল । ভুজ বলে রাজা হৈল শালী ভূমণ্ডল । সকল দানবগণে হৈল। অনুগত। ঐশ্বৰ্য্যের সীমা নাই বর্ণিবারে কত। বয়েস অধিক হৈল না হয় সন্তান। হুইল পরম দুঃখী দৈত্য বলবান । এইৰূপে কিছু দিন গত হয়ে যায় । দৈবে শুন এক দিন রঙ্গ হৈল তায় । পুর মার্জনেতে অাছে নিয়োজন হাড়ি"। উষাকালে প্রত্যহ মাৰ্জুন করে বাড়ি । না উঠিতে মহীপাল কাৰ্য্য সারি যায়। দৈর্বে এক দিন রাজা দেখিলেন তায় । দেখিয়া রাজার মুখ হাড়ির নন্দন । দ্রুতগতি চলে গেল আপন ভবন। পাছুই ভূপতি চলিল তার সঙ্গে । তাহার বাড়ির পাশে শোচে বসে রঙ্গে । হাড়ি বলে হাড়িনীকে আয়রে স্বরায়। শীঘ্ৰ গঙ্গাজল পর্শ করাও আমায় । রাত্রি পোহাইল মাত্র মোরে দিতে দুঃখ । আঁটকুড় রাজার দৈখিকু আজি মুখ। কত পাপ হৈল আজি কি কহিব তোকে । গেরোফেরে পড়িলাম কিবা দৈব মোকে । অন্নজন্যে হইলাম কাল পরকালে । আটকুড়ার অন্ন খাই কি পাপ কপালে । পুত্ৰ মোর কোলে দাও যাকু দুঃখ তাপ । পুত্ৰ আলিঙ্গন রজে বিমোচন পাপ । এইৰূপ হাড়িনীকে কহিছে হডডিপ । শোচে বলে শুনিতে পাইল বৈত্যাধিপ। আপন আপনি ঘূণা জনমিল মনে । পুত্র বিনে মহাপাপী বলে সৰ্ব্বজনে । কহিতে পরম লজ্জা দুঃখে যাই মরে। বিষ্ঠ মুক্ত করে হাড়ি সেও ঘৃণা করে। মোর পুরে ঝর্ণটি দেয় “মোর-অন্ন খায় । তার বাক্যে লজ্জা হয় সহ নাহি যায়। পুস্ত্রবিনে সব মিথ্য। সংসার আসার । পুত্ৰ হেতু তপ করা উচিত আমার । অন্যপুত্রে আমার নাহিক প্রয়োজন । শঙ্করে লইব পুত্র নতুবা মরণ । এত ভাবি শৌচান্তে উঠিয়া জন্তাস্কুর । হাড়িকে না কহে কিছু আইল নিজপুর । কারে কিছু না কহিয়া চলে তপস্তায় । নৃসিংহ আদেশে দ্বিজ কবিরত্ব গায়। Ꮉs জন্তাকুরের শিবের তপস্ত । t ললিত ছন্দঃ । যাইয়ে হিমাচলে, অসুর কুতূহলে, করিল যোগাসনে/ভর { মুদিয়ে দুন্নয়ন, যোগে রাখিয়া মন, একাস্তে ভাবিছে শঙ্কর ৷ মানসে পুজ