পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে নাই, সেই নরেনদার মুখে আবার হাসি ফুটিবে, ইহাতেই সে একেবারে বিভোর হইয়া গিয়াছিল। জগতের সমস্ত দুঃখ বেদন আজ তাঙ্গর নিকট হইতে দূরে,—বহুদূরে সরিয়া গিয়াছে। সে এক মনে নববধূকে সাজাইতে ছিল, সহসা দেবেনবাবুব গৃঙ্গ প্রবেশেব শব্দে, সে মুখ তুলিয়া চাহিল। দেবেনবাবুর সমস্ত মুখখানাব উপর চিন্তু রেখা পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছে। তাহার স্নান বিশুষ্ক মুখের দিকে চাঙ্গিবামাত্র পঙ্কজিনীধ যেন একটা অজানিত আশঙ্কায় সমস্ত বুকটা তের দুর করিয়া কাপিয়া উঠিল । সে ভীত চরিণীব ন্যায় বিস্ফারিত দৃষ্টিতে দেবেনবাবুর মুখেৰ দিকে চাহিয়া কম্পিত কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, “জ্যাটামশাই আপনার মুথ এত শুকনে কেন ? অসুপ কবেছে বুঝি ?” দেবেনপাবু পঙ্কজিনাব মুখেৰ fদকে চাহিয়াছিলেন, তিনি যে দুঃসংবাদ লইয়া উপস্তিত হইয়াছিলেন, তাহা মুখ চক্টতে বান্তিব করা তাহাব পক্ষে কঠিন হইল । নবেন্দ্রনাথের বিবাহেব আনন্দে পঙ্কজিনী জগৎ সংসাব ভুলিয়া বহিয়াছে, এ সময় সেই দুঃসংবাদ তিনি কেমন কবিয়া তাহাকে প্রদান করিবেন ? কিন্তু সংবাদ না দিলেও নয় ;—রোগ কঠিন না হইলে এমন দিনে পঙ্কজিনীব শ্বশুব কখনই তাহাকে 'তার' করিতেন না। দেবেনবাবু নিজেকে একটু দৃঢ় করিয়া কোনক্রমে বলিয়া ফেলিলেন, “ম বড় খাবাপ খবর পেলুম । তোমাকে এখনি শ্বশুর-বাড়ী যেতে হবে । বাবাজিব নাকি হঠাৎ কলের হয়েছে। তোমার শ্বশুৰ মশাই তোমাকে পাঠিয়ে দেবার জন্ত আমায় 'তার' করেছেন।” s & s ]