পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ বাতাসে সম্মুখের জানালাটা একটু ফাক হইয়া গিয়াছিল, নরেন্দ্রনাথের দৃষ্টি সেই ফাকটুকুর ভিতর দিয়া নিবিড় কালে আকাশেব উপর যাইয়া পড়িল । আজ তিন চারি মাস বিছানায় পড়িয়া পড়িয়া সে কেবলই রোগ যন্ত্রণ ভোগ করিতেছে, অন্ধকার রাত্রের এমন আকাশ সে কতদিন দেখে নাই। কিছুক্ষণ আকাশের দিকে চাহিয়া চাহিয় তাহাব যেন মনে হটতে লাগিল, আকাশ মৃত্যুর পোষাক পরিয়া আজ তাহার সম্মুখে একবারে তাহার কালে বুকখানার সবটুকু বিস্তারিত করিয়া দাড়াইয়াছে। বিশ্বব্যাপী এই বিরাট অন্ধকারের ভিতর জগতের সমস্ত আলো অতি শীঘ্রই তাহার চক্ষের সম্মুখে একেবারে চিরদিনের মত কালো হইয়া যাইবে । সকলই সকল দেখিতে পাষ্টবে, সেই কেবল দেখিতে পাইবে না। মেহ, মমতা, ভালবাস বিশ্বের যাঙ্গ কিছু বন্ধন ক্রমেই যেন তাহার সমস্তই শিথীল হইয়৷ পড়িতেছে, দুষ্ট দিন পরে একেবারেই ছিন্ন হইয়া যাইবে। ওই কালে আকাশের কোটা তাবা মিট মিট করিয়া আজ যেন তাহাকে হাতছানি দিয়া ডাকিতেছে। সহসা সেই কালো আকাশের একটা বড় তারা তাহার চক্ষের উপরে বেশ একটু জল জল করিয়া উঠিল ;–সেই তারার ভিতর হইতে একখানি তাহার বড় পরিচিত,—বড় আপনার মুখ যেন উকি দিল। সে মুখখানি { ઝર ]