পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালের-কোলে সে এখন সামলাতে পারিনি। এ সময় তাকে আমার অমুখের কথা জানানো ভাল হয়নি। মা সেতো তার সব সুখই জলাঞ্জলী দিয়েছে,—এ সময় তাকে একটু শান্তি পাবারও অবসর দেওয়া উচিত ছিল।” 譬 নরেন্দ্রনাথ আবার একটুখানি চুপ করিয়া থাকিয় জিজ্ঞাসা করিল, “মা এখন রাত্তির কটা ?” গৃহের প্রাচীরের গাত্রে ব্রাকেটের উপর ঘড়ী রাত্রের পরিমাণ জ্ঞাপন করিয়া ক্রমাগত টিক্‌টিক্‌ করিতেছিল। কাত্যায়নী একবার ব্রাকেটের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “রাত্তির এখন ন’টা ।” নরেন্দ্রনাথ আবার একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “সবে ম’ট । আমি ভাবছিলুম বুঝি রাত্তির বারটা একটা বেজে গেছে। তবে মা তুমি আমার ঘুমের জন্তে অত বাস্ত হয়েছিলে কেন ? রাত্তির তো এখন মোটেই হয়নি।” কাত্যায়নী পুত্রের কথার উত্তরে আবার কি একটা বলিতে যাইতেছিলেন, সেই সময় দরজাটা ধীরে ধীরে একটু ফাকৃ হইয়া গেল ;–গুহের ভিতর প্রবেশ করিলেন দেবেনবাবু। তিনি আর সে দেবেনবাবু নাই, পুত্রের কথা চিন্তা করিয়া করিয়া বাদ্ধক্য আসিয়া তাহাকে একেবারে জড়ীভূত করিয়া দিয়াছে। গৃহের ভিতরকার আলোটা অতি মৃদুভাবে জলিতেছিল,—তিনি সেটাকে একটু সতেজ করিয়া দিয়া, পত্নীর দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “নরু কি ঘুমিয়েছে ?” কাত্যায়নী মাথাটা নাড়িয়া উত্তর দিলেন, “না।” νιν ]