পাতা:কালের কোলে - যতীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ অনেক রাত্রি পর্য্যন্ত রোগ যন্ত্রণায় ছটফট করিয়া শেষ রাত্রে নরেন্দ্রনাথের একটু তন্ত্ৰা আসিয়াছিল। একখানি কোমল নারী হস্ত স্পর্শে যখন সে চোখ মেলিয়া চাহিল,—তখন প্রভাতের রৌদ্র উন্মুক্ত গবাক্ষ দিয়া গৃহের ভিতব প্রবেশ করিয়া মেঝের উপর লুটোপুটি খাইতেছিল। চক্ষু মেলিয়া নরেন্দ্রনাথ শিয়রের নিকট যাহাকে দেখিল তাহা যেন তাঙ্গর স্বপ্ন বলিয়া বোধ হইল। প্রত্যহই সে আশে পাশে যাহাকে দেখিতেছে, সেই তাহার শিয়রে বসিয়া তাহার কোমল হস্তে ধীরে ধীবে তাঙ্গর মস্তকে হাত বুলাইয় দিতেছে। নরেন্দ্রনাথ স্থির দৃষ্টিতে সেই মূৰ্ত্তিখানির দিকে কিছুক্ষণ চাহিয়া থাকিয় একটা আকুল দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিল । সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ফোটা অশ্র তাহার গণ্ড বহিয়া ঝরিয়া পড়িল । নরেন্দ্রনাথের সঙ্কট পীড়ার সংবাদ পৌছিবামাত্রই পঙ্কজিনী রওনা হইয়াছিল, সে যখন মধুপুবে দেবেনবাবুর বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইল, তখনও রাত্রি শেষ হইবার কিছু বাকি ছিল,—নরেন্দ্রনাথ সেই সবে মাত্র নিদ্রিত হইয়াছে। নরেন্দ্রনাথের মৃত্যু মলিন পাণ্ডুর মুখের দিকে চাহিয়া পঙ্কজিনীর বুকটা ফাটিবার মত হইল। পাছে তাহার নরেনদার নিদ্রা ভঙ্গ হয়, সেই আশঙ্কায় সে একটাও কথা না বলিয়। ধীরে ধীরে যাইয় পাষাণের মত তাহার শিয়রের নিকট বসিয়াছিল ;–তাহার পর ' [ २२ ]